বিজ্ঞাপন

‘ভ্যাকসিন বিতরণে বেসরকারি খাতকে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করবো’

December 30, 2020 | 12:22 am

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সরকারের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। চুক্তি স্বাক্ষর থেকে শুরু করে টিকাদানের যেসব প্রক্রিয়া আছে তার জন্য স্বাস্থ্যখাত কাজ করেছে। ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য ইপিআই প্রকল্প (সম্প্রসারিত টিকাদান প্রকল্প) আছে। এজন্য আমরা একটু সুবিধাজনক অবস্থায় আছি। কারণ, আমাদের প্রশিক্ষিত ও অভিজ্ঞ প্রচুর জনবল আছে। সরকারিভাবে ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হলে পাশাপাশি আমি বেসরকারি খাতকে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করবো।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত ‘করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলা ও কোভিড-১৯ এর নতুন স্ট্রেইন ছড়ানো নিয়ন্ত্রণে করণীয়’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।

জাহিদ মালেক বলেন, ভ্যাকসিন মোটামুটি ফাইনাল হয়ে গেছে। চুক্তি করে আমরা ক্রয় আদেশও দিয়ে দিয়েছি। আমরা সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছে ব্যাংক গ্যারান্টি চেয়েছি। সেই ব্যাংক গ্যারান্টির বিপরীতে এখান থেকে টাকা যাবে। আমরা আশা করি প্ল্যান অনুযায়ী সব ঠিক থাকলে জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে শেষের মধ্যে বা ফেব্রুয়ারির প্রথম ভাগে ভ্যাকসিন চলে আসবে। ভারতে ভ্যাকসিন শুরু হলে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদন দিলে ভ্যাকসিন চলে আসবে।

তিনি বলেন, করোনাকালে অনেক কিছু থেমে গেলেও দেশের স্বাস্থ্যখাত কখনো থামেনি। আগামীতেও থেমে থাকবে না। দেশের হাজারো শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ জীবন থেকে যেনো একটি বছর নষ্ট হয়ে না যায় সেজন্য সামনেই এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার কাজ শুরু করা হবে।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, করোনায় সারা বিশ্বে ১৮ লাখ মানুষ মারা গেছেন। প্রায় আট কোটি লোক আক্রান্ত হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিদিন দুই হাজার লোকও মারা যাচ্ছেন। ইউরোপে ৫০০-৭০০ জন করে প্রতিদিন মারা যাচ্ছেন। সেই তুলনা করলে আমাদের দেশে পরিস্থিতি অনেক ভালো। আমাদের এখানে মৃত্যু ২৫ থেকে ৩০-এর মধ্যে থাকছে। সংক্রমণের হারও যে খুব বেড়ে গেছে তা কিন্তু নয়। ওটা স্থিতিশীল আছে। মৃত্যুর সংখ্যাও স্ট্যাটিক আছে। আমরা চাই এটা না বাড়ুক। এতে আপনাদের সবার সহযোগিতা দরকার।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনার পরীক্ষার ক্ষেত্রে আমরা চেষ্টা করেছি বেসরকারি খাতকে সহযোগিতা করার জন্য। আমরা শুধু সরকারি পর্যায়ে টেস্ট সীমাবদ্ধ রাখিনি, উন্মুক্ত করে দিয়েছি। যাতে সবাই টেস্টের সুযোগ সুবিধা পায়। বিদেশগামীদের টেস্ট, অ্যান্টিজেন টেস্টও আমি বেসরকারি খাতে দিয়ে দেবো।

সভায় কোভিড-১৯ মোকাবেলায় দেশের প্রাইভেট মেডিকেল এসোসিয়েশনের আওতাধীন চিকিৎসা সেবা কেন্দ্রগুলি ৫ জুন থেকে থেকে যেভাবে মানুষকে সেবা দিয়ে গেছেন তার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

বিজ্ঞাপন

সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মুবিন খান। তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর প্রতি কোভিড মোকাবিলায় তাঁর সাহসী উদ্যোগগুলির জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

কোভিড মোকাবিলায় বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল এসোসিয়েশন যেভাবে এগিয়ে এসেছেন তার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ত্রাণমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।

সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ও আনোয়ার খান মেডিক্যালের প্রতিষ্ঠাতা আনোয়ার খান, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম।

এ সময় দেশের ৭০টি প্রাইভেট মেডিক্যালের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যরা অনলাইনে যুক্ত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসবি

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন