বিজ্ঞাপন

‘মানুষ বিদেশে গিয়ে যেন অসম্মানে না পড়ে, সে লক্ষ্যে কাজ করছি’

January 6, 2021 | 3:01 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমার দেশের মানুষ আমার কাছে অনেক সম্মানের। তারা বাইরে গিয়ে কোনো রকম অসম্মানে না পড়ে। সেজন্য লক্ষ্য আমরা সবসময় রেখেছি এবং লক্ষ্য রেখেই কাজ করছি।’

বিজ্ঞাপন

বুধবার (৬ জানুয়ারি) সকালে ‘আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস-২০২০’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র প্রান্তে যুক্ত হন। প্রবাসী কল্যাণ ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে অনুষ্টানটির আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রবাসীকল্যাণ ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদ আর স্বাগত বক্তব্য রাখেন সচিব আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন। এছাড়া বিদেশি বিভিন্ন দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

একসময় বাংলাদেশে কর্মসংস্থানের অভাব ছিল, সে কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তখন আমাদের যারা যুবক ছিল, তারা কাজ খুঁজে পেত না। তখন তাদের বিদেশেই পাড়ি দিতে হয়েছে। এই পাড়ি দিতে গিয়ে অনেকে সুষ্ঠুভাবে বিদেশে গিয়ে অর্থ উপার্জন করতে পেরেছেন আবার অনেকে তা পারেননি। ধোঁকায় পড়ে নিজের জীবনটাও নষ্ট হয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

২১ বছর পর যখন আওয়ামী লীগ সরকারে আসে তখন থেকেই আমরা প্রবাসী শ্রমিকদের কল্যাণে কাজ করার পাশাপাশি দেশের ভিতরেও কর্মসংস্থানের ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি করছি,-বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যে সোনার হরিণ ধরার জন্য বিদেশে ছোটে সেখানে গিয়ে দেখে যে হয়তো সেই বেতনও পাচ্ছে না। মানবেতর জীবনযাপন করতে হয়েছে। একদিকে যেমন নিজেদের সম্পত্তি হারানো, অন্যদিকে সেখানে গিয়ে উপযুক্ত কাজের অভাব। এই ধরনের অবস্থাও তাদের আমরা দেখেছি।’

প্রবাসীদের দুঃখ-দুর্দশার ব্যাপারে আগে থেকেই অবহিত থাকার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘যখনি বিদেশে গিয়েছি আমাদের যারা প্রবাসী তাদের সঙ্গে সবসময় কথা বলে সুবিধা-অসুবিধাগুলি জানার চেষ্টা করেছি। সেই থেকে তাদের সমস্যাগুলি আমাদের জানা আছে।’

বিজ্ঞাপন

তাই সবাইকে দক্ষ হয়ে ট্রেনিং নিয়ে উপযুক্ত হয়ে বিদেশে যাওয়ার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘অনেকে সঠিকভাবে ট্রেইনিংটা না নিয়ে কোনোমতে একটা সার্টিফিকেট নিয়ে নেন এবং তারপরে বিদেশে গিয়ে সমস্যায় পড়েন। এই কাজটা না করে আন্তরিকতার সঙ্গে ট্রেইনিংটা নিয়ে গেলে তখন আর কেউ বিদেশে গিয়ে হেনস্থার শিকার হবেন না এবং আমাদের প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়কেও এ বিষয়ে আরও নজরদারি করতে হবে।‘

তিনি আরও বলেন, ‘কারণ মানুষ যায়, এটা তো আদিকাল থেকেই আছে। যুগ যুগ থেকেই আছে। মানুষ এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাচ্ছে। মানুষ চলমান। কাজেই সেখানে গেলে পরে তারা নিজের কাজটা নিজে করতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

সারাবাংলা/এনআর/এমআই

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন