January 11, 2021 | 10:30 am
সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, দেশের ভেতর ও বাইরে বাংলাদেশ বিরোধী অপপ্রচার বিপজ্জনক পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে। মেধা ও সৃজনশীলতা কাজে লাগিয়ে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে এই তথ্য সন্ত্রাস মোকাবিলায় কাজ করতে হবে। সরকার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে।
রোববার (১০ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি আয়োজিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের সভাপতিত্বে এবং একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবিরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নেতা শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, কাজী মকুল, আনিস মনির, অমি রহমান পিয়াল ও লিনা পারভিন।
মন্ত্রী বলেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তি বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল। ১৫ আগস্টে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে ২১ বছর ধরে বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানানোর চেষ্টা করা হয়েছিল।
দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে অপপ্রচারে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভূমিকা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ক্ষতিকর যে কোনো ওয়েবসাইট বন্ধ করার সক্ষমতা সরকারের আছে। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসমূহের কনটেন্ট বন্ধ করা যায় না।
এ ব্যাপারে ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া ও সিঙ্গাপুরসহ কয়েকটি দেশের গৃহীত আইনগত প্রক্রিয়ার দৃষ্টান্ত তুলে ধরে তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তারা খুব বেশি একটা সাড়া এক্ষেত্রে দিচ্ছে না। দেশ ও জাতির প্রয়োজনে সরকার এ বিষয়ে একটি আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে। ইতোমধ্যে তথ্য মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইসিটি বিভাগের সঙ্গে কয়েকটি আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দেশে ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের অগ্রদূত মোস্তাফা জব্বার বলেন, মুক্তিযুদ্ধের শক্তির বিরুদ্ধে মিথ্যাচার হচ্ছে, গুজব ছড়ানো হচ্ছে কিন্তু প্রতিবাদের জন্য সুসংগঠিত প্লাটফর্ম গড়ে ওঠেনি। তাদেরকে আইনগতভাবে এবং মিথ্যাচার মোকাবিলায় অনলাইন বাহিনীর দরকার। তারা সক্রিয় হলে গুজব রটনাকারীরা সুবিধা করতে পারবে না।
সারাবাংলা/ইএইচটি/এএম