বিজ্ঞাপন

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান রোববার

January 16, 2021 | 9:23 pm

এন্টারটেইনমেন্ট করেসপনডেন্ট

আগামীকাল (রোববার) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বসছে দেশের ৪৪তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৯ প্রদানের আসর। এদিন সকাল সাড়ে দশটায় গণভবন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে তিনি গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অংশ নেবেন পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন অনুষ্ঠানের সভাপতি তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি।

বিজ্ঞাপন

এ আয়োজনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মুরাদ হাসান এবং তথ্য মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। তথ্যসচিব খাজা মিয়া স্বাগত বক্তব্য রাখবেন।

নিমন্ত্রণপত্রে উল্লেখ করা তথ্য অনুযায়ী সকাল ১০টা ৩৩ মিনিটে স্বাগত বক্তব্য দেবেন তথ্যসচিব খাজা মিয়া। ১০টা ৩৭ মিনিটে অনুষ্ঠানে সভাপতি তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বক্তব্য রাখার পর ১০টা ৪২ মিনিটে আজীবন সম্মাননা প্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী। চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদানের জন্য মাসুদ পারভেজ (সোহেল রানা) ও কোহিনুর আক্তার সুচন্দা এবছর আজীবন সম্মাননায় অভিষিক্ত হচ্ছেন। এই দুজনের অনুভূতি প্রকাশের পর ১১টা ৬ মিনিটে প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বক্তব্য দেবেন।

বিজ্ঞাপন

২০১৯ সালে নির্মিত চলচ্চিত্রগুলোর মধ্য থেকে ২৫টি ক্যাটাগরিতে ৬টি যুগ্মসহ মোট ৩১ জনকে জাতীয় পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত করে জুরি বোর্ড। গত ৩ ডিসেম্বর তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৯ প্রজ্ঞাপন জারি হয়। সেই প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী এবার বিভিন্ন বিভাগে পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন- শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র (যুগ্ম): ন ডরাই ও ফাগুন হাওয়ায়। শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র: নারী জীবন। শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র: যা ছিলো অন্ধকারে। শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক: তানিম রহমান অংশু (ন ডরাই)। শ্রেষ্ঠ অভিনেতা প্রধান চরিত্রে: তারিক আনাম খান (আবার বসন্ত)। শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী প্রধান চরিত্রে: সুনেরাহ বিনতে কামাল (ন ডরাই)। শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পার্শ্ব চরিত্রে: এম ফজলুর রহমান বাবু (ফাগুন হাওয়ায়)। শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী পার্শ্ব চরিত্রে: নারগিস আক্তার (মায়া দ্য লস্ট মাদার)। শ্রেষ্ঠ অভিনেতা/অভিনেত্রী খল চরিত্রে: জাহিদ হাসান (সাপলুডু)। শ্রেষ্ঠ শিশু শিল্পী (যুগ্ম) নাইমুর রহমান আপন (কালো মেঘের ভেলা) ও আফরীন আক্তার (যদি একদিন)। শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক: মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী ইমন (মায়া দ্য লস্ট মাদার)। শ্রেষ্ঠ নৃত্য পরিচালক: হাবিবুর রহমান (মনের মতো মানুষ পাইলাম না)। শ্রেষ্ঠ গায়ক: মৃনাল কান্তি দাস (তুমি চাইয়া দেখো- শাটল ট্রেন)। শ্রেষ্ঠ গায়িকা (যুগ্ম): মমতাজ বেগম (বাড়ির ওই পূর্বধারে- মায়া দ্য লস্ট মাদার) ও ফাতিমা-তুয-যাহরা ঐশী (মায়া, মায়া রে- মায়া দ্য লস্ট মাদার)। শ্রেষ্ঠ গীতিকার (যুগ্ম): নির্মলেন্দু গুণ (ইস্টিশনে জন্ম আমার- কালো মেঘের ভেলা) ও ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী (চল হে বন্ধু চল- মায়া দ্য লস্ট মাদার)। শ্রেষ্ঠ সুরকার (যুগ্ম): প্লাবন কোরেশী (বাড়ির ওই পূর্বধারে) ও সৈয়দ মো. তানভীর তারেক (আমার মায়ের আঁচল- মায়া দ্য লস্ট মাদার)। শ্রেষ্ঠ কাহিনিকার: মাসুদ পথিক (মায়া দ্য লস্ট মাদার)। শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার: মাহবুব উর রহমান (ন ডরাই)। শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা: জাকির হোসেন রাজু (মনের মতো মানুষ পাইলাম না)। শ্রেষ্ঠ সম্পাদক: জুনায়েদ আহমদ হালিম (মায়া দ্য লস্ট মাদার)। শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশক (যুগ্ম): মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ বাসু ও মো. ফরিদ আহমেদ (মনের মতো মানুষ পাইলাম না)। শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক: সুমন কুমার সরকার (ন ডরাই)। শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক: রিপন নাথ (ন ডরাই)। শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজ-সজ্জা: খোন্দকার সাজিয়া আফরিন (ফাগুন হাওয়ায়) এবং শ্রেষ্ঠ মেকআপম্যান: মো. রাজু (মায়া দ্য লস্ট মাদার)।

সারাবাংলা/এএসজি

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন