বিজ্ঞাপন

দীপন হত্যায় ৮ আসামির মৃত্যুদণ্ড চায় রাষ্ট্রপক্ষ

January 17, 2021 | 8:16 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় ৮ আসামির সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড দাবি করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। রোববার (১৭ জানুয়ারি) ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমানের আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী গোলাম ছারোয়ার খান জাকির যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সময় এ দাবি করেন।

বিজ্ঞাপন

রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আসামিদের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শুরু হয়েছে। আগামীকাল পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

এর আগে, গত ১৩ অক্টোবর দীপন হত্যা মামলায় আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সামরিক শাখার প্রধান ও বরখাস্ত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়াসহ আট জঙ্গির বিচার শুরুর আদেশ দেন।

চার্জশিটভুক্ত বাকি আসামিরা হলেন— মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান, আবদুর সবুর সামাদ ওরফে সুজন ওরফে রাজু ওরফে স্বাদ, খাইরুল ইসলাম ওরফে জামিল ওরফে জিসান, আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন ওরফে শাহরিয়ার, শেখ আবদুল্লাহ ওরফে জুবায়ের ওরফে জায়েদ ওরফে জাবেদ ওরফে আবু ওমায়ের ও আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে আবদুল্লাহ। আসামিদের মধ্যে জিয়াউল হক ও আকরাম হোসেন পলাতক।

বিজ্ঞাপন

গত ১৯ মার্চ আট আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করে পলাতক দুই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। ২০১৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর সিএমএম আদালতে এ চার্জশিট উপস্থাপন করা হয়। একই বছরের ১৫ নভেম্বর আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মো. ফজলুর রহমান চার্জশিট দাখিল করেছিলেন।

মামলাটিতে এ নিয়ে ২৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ২১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। গত ২৩ ডিসেম্বর মামলাটিতে সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর দুপুরের পর শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটে জাগৃতি প্রকাশনীর কার্যালয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। একইদিন কাছাকাছি সময়ে লালমাটিয়ায় শুদ্ধস্বর প্রকাশনীর কার্যালয়ে ঢুকে এর স্বত্বাধিকারী আহমেদুর রশীদ টুটুল, লেখক সুদীপ কুমার ওরফে রণদীপম বসু ও প্রকৌশলী আবদুর রহমানকে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার চেষ্টা করে।

বিজ্ঞাপন

চার্জশিটে বলা হয়, দীপনকে হত্যার নির্দেশদাতা, মূল পরিকল্পনা ও নেতৃত্বে ছিলেন পলাতক সৈয়দ জিয়াউল হক। আসামি খাইরুল, আবদুস সবুর ও মইনুলকে হত্যা মিশনে যাওয়ার আগে প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন।

সারাবাংলা/এআই/এমও

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন