বিজ্ঞাপন

শাহাদাতের প্রচারে হামলা, ভাঙা গাড়ি নিয়ে ইসিতে কাউন্সিলর প্রার্থী

January 18, 2021 | 8:24 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: গণসংযোগের সময় বিএনপির মেয়র প্রার্থী শাহাদাত হোসেনের উপস্থিতিতে প্রচারণায় যুক্ত দু’টি অটোরিকশায় হামলা, ভাঙচুর ও আরোহীদের মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভাঙচুর হওয়া অটোরিকশা দু’টি নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে হাজির হন শাহাদাতের সঙ্গে থাকা সংরক্ষিত ওয়ার্ডে বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থী জিন্নাতুন নেছা জিনু। তিনি হামলার বিচার দাবি করেন। বিএনপি এই হামলার জন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দায়ী করেছে।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে নগরীর পাঁচলাইশ থানার ষোলশহর চশমাহিল আবাসিক এলাকার মেয়র গলির সামনে এই ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর শাহাদাত ও জিন্নাতুন নেছার পক্ষ থেকে আলাদাভাবে রিটার্নিং অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, চশমাহিল এলাকায় মেয়র প্রার্থী শাহাদাত হোসেন ও সংরক্ষিত ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী জিন্নাতুন নেছা জিনু একসঙ্গে গণসংযোগ করছিলেন। আলাদা দু’টি অটোরিকশার একটি থেকে মাইকে শাহাদাতের জন্য ধানের শীষ প্রতীকে ভোট চাওয়া হচ্ছিল। আরেকটি থেকে জিন্নাতুনের জন্য গ্লাস প্রতীকে ভোট চাওয়া হচ্ছিল।

ভাঙচুরের সময় অটোরিকশায় থাকা জিন্নাতুনের ছেলে সাইমন ইব্রাহিম ও মাইকের দায়িত্বরত কর্মচারী জয়নাল আবেদিনকে মারধর করা হয়। একইভাবে শাহাদাতের প্রচারে থাকা অটোরিকশার এক আরোহীকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বিজ্ঞাপন

অটোরিকশা দু’টিসহ মারধরের শিকার তিন জনকে নিয়ে জিন্নাতুন নেছা বিকেল ৫টার দিকে নগরীর লাভ লেনে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে হাজির হন। এসময় রিটার্নিং অফিসার মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান তার কক্ষ থেকে বের হয়ে আসেন এবং তাদের মুখ থেকে ঘটনার বর্ণনা শোনেন। এসময় জিন্নাতুন নেছা অভিযোগ করেন, গণসংযোগের সময় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা পেছন থেকে দা ও লাঠি নিয়ে দু’টি সিএনজি অটোরিকশায় হামলা করে।

মারধরের শিকার জয়নাল জানান, ঘটনার সময় হুড়োহুড়ি শুরু হয়। ধর ধর বলে চিৎকার করে ১০-১২ জন যুবক হামলায় অংশ নেন। ১০ মিনিটের মধ্যে মারধর ও ভাঙচুর করে সন্ত্রাসীরা চলে যায়।

রিটার্নিং কর্মকর্তাকে দেখানোর পর নগর বিএনপির কার্যালয়ে ভাঙা গাড়ি দু’টি নিয়ে যাওয়া হয়। শাহাদাতের প্রচারে নিয়োজিত অটোরিকশাটির (চট্ট মেট্রো থ-১৩-১৩৫৯) সামনের কাচ ভেঙে চুরমার অবস্থায় দেখা গেছে। ওপরে বাঁধা মাইকটিও ভেঙে ফেলা হয়। জিন্নাতুনের গ্লাস প্রতীকের প্রচারে থাকা অটোরিকশারটির (চট্ট মেট্রো থ-১২-১৮০৮) সামনের কাঁচ পুরোপুরি ভাঙা এবং পেছনের কাভার ছেঁড়া দেখা গেছে।

বিজ্ঞাপন

জানতে চাইলে রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান সারাবাংলাকে বলেন, ‘তারা দু’টি অভিযোগ দিয়ে গেছেন। আমি থানায় অভিযোগ করতে বলেছি। আমরাও ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

জানতে চাইলে পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূঁইয়া সারাবাংলাকে বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। তবে সংঘাতপূর্ণ অবস্থায় কাউকে পাইনি। ঘটনার পরও উনারা স্বাভাবিকভাবে গণসংযোগ করেছেন। উনারা চশমাহিল থেকে কসমোপলিটন, হিলভিউ হয়ে টেক্সটাইল গেটে গিয়ে গণসংযোগ শেষ করেন। মাঝখানে কে বা কারা হামলা করল, এটা আমরা তদন্ত করে দেখছি।’

সারাবাংলা/আরডি/টিআর

Tags: , , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন