বিজ্ঞাপন

নিখোঁজ শিক্ষার্থীর রক্ত লাগবে বলে বিকাশে টাকা নিয়েই মোবাইল বন্ধ

January 20, 2021 | 7:28 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: একসপ্তাহ হলো নিখোঁজ মালয়েশিয়ার এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের নিখোঁজ শিক্ষার্থী সাদমান সাকিব। রাজধানীর ভাটারা থানা এলাকার বাসিন্দা সাদমানকে ফেনী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে— হঠাৎ এমন কথা বলে যোগাযোগ করা হয় তার মায়ের সঙ্গে। কিছু সময় পর জানানো হয়, সাদমান হাসপাতালে, তার চিকিৎসার জন্য রক্ত লাগবে। রক্ত জোগারের জন্য টাকা চাওয়া হয় সাদমানের মায়ের কাছে।

বিজ্ঞাপন

সপ্তাহখানেক নিখোঁজ থাকা সন্তানের সন্ধান পাওয়ার কথা ‍শুনে মা আর দেরি করেননি। আট হাজার টাকা পাঠিয়ে দেন বিকাশে। কিন্তু এরপর থেকেই ওই মোবাইল নম্বর বন্ধ পাচ্ছেন সাদমানের মা মনোয়ারা হোসেন। পুলিশ ধারণা করছে, একটি প্রতারক চক্র ছেলের কথা বলে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে পরিবারের কাছ থেকে।

বুধবার (২০ জানুয়ারি) বিকেল সোয়া ৫টার দিকে নিখোঁজ শিক্ষার্থী সাদমানের মা মনোয়ারা হোসেন কান্নাজড়িত কণ্ঠে সারাবাংলাকে বলেন, বিকেল ৫টা ৫ মিনিটের দিকে একজন আমাকে ফোন করে জানায়, আমার ছেলেকে ফেনী থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। সাদমান ফেনীতে একটি হাসপাতালে আছে। আপনারা তাড়াতাড়ি চলে আসেন।

সাদমানদের বাড়ি রাজধানীর ভাটারা থানা এলাকায়। এ খবর পাওয়ার পরই সাদমানের পরিবার থেকে ফেনীর পথে রওনা দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হয়। তবে এর মধ্যেই সন্ধ্যা ৬টার দিকে আবারও ওই মোবাইল নম্বর থেকে ফোন আসে সাদমানের মা মনোয়ারা হোসেনের কাছে।

বিজ্ঞাপন

ওই সময় সারাবাংলার সঙ্গে যোগাযোগ হলে মনোয়ারা হোসেন বলেন, ৬টার দিকে আবারও ফোন আসে। ওই সময় আমাকে বলে, আমার ছেলের চিকিৎসার জন্য জরুরিভিত্তিতে রক্ত লাগবে। এজন্য কিছু টাকা পাঠাতে হবে। আমরা আট হাজার টাকা বিকাশে পাঠিয়ে দেই। কিন্তু টাকা পাঠানোর পর থেকে ওই নম্বর বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।

মনোয়ারা হোসেন আরও বলেন, সাত দিন হলো ছেলে নিখোঁজ। আজকে ফোন পেয়ে আশার আলো দেখছিলাম। এখন বুঝতে পারছি না কী হলো।

এ বিষয়ে জানতে ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোক্তারুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি সারাবাংলাকে বলেন, নিখোঁজ সাদমানকে ফেনী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে— এমন কোনো খবর পুলিশের কাছে নেই। ফেনী পুলিশের কাছেও খোঁজ নেওয়া হয়েছে। খবরটি ভুয়া। এটি প্রতারকচক্রের কাজ হতে পারে।

বিজ্ঞাপন

এর আগে, গত ১৩ জানুয়ারি বাসা থেকে বের হওয়ার পর আর ফেরেনি সাদমান সাকিব। এ ঘটনায় তার মা মনোয়ারা হোসেন ভাটারা থানায় জিডি করেন।

সারাবাংলা/ইউজে/টিআর

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন