বিজ্ঞাপন

যেভাবে ঘর হতে পারে শান্তির নীড়

January 25, 2021 | 12:54 pm

লাইফস্টাইল ডেস্ক

২০২০ সালটা পৃথিবীর প্রায় সব মানুষেরই কেটেছে ঘরে। বন্ধু-স্বজনদের নিয়ে বাইরে বের না হয়ে কীভাবে ঘরেই আপনজনদের নিয়ে অর্থবহ সময় কাটানো যায় তা খুঁজে নিয়েছে মানুষ। তাই করোনায় পৃথিবীর যে পরিবর্তন তার সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে আপনার ঘরে আনতে পারেন কিছু পরিবর্তন। নিচের কিছু উপায়ে আপনি আপনার ঘরকে সুস্থ্য ও সুখী জীবনযাপনের জন্য উপযোগী করে ‍তুলতে পারেন।

বিজ্ঞাপন

অবসাদ ও কাজের জায়গার মধ্যে সমন্বয়

আমাদের দেশে লিভিং স্পেস, ড্রয়িং রুম বা বসার ঘরে পরিবারের সবাই মিলে আড্ডা দিতে পছন্দ করি। তাই বাসা থেকে অফিসের কাজ করার জন্য আলাদা একটি ঘর বাছাই করুন। তাহলে কাজের সময় আপনি রুমটি বন্ধ রাখতে পারবেন। আলাদা ঘর না থাকলে আসবাবপত্র বা গাছের টব দিয়ে জায়গাটি আলাদা করে নিন। এজন্য আপনি বড় সোফা, বইয়ের আলমারি ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন। আপনার কাজের জায়গায় অবশ্যই পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখুন।

বিজ্ঞাপন

পর্যাপ্ত দিনের আলো

প্রাকৃতিক আলো বা সূর্যের আলোর ভিটামিন ডি আপনার শরীরকে সুস্থ্য রাখে। আবার ঘরে সূর্যের আলোর অতিবেগুনি রশ্মি আপনার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই ঘরে দিনের বেলায় যাতে পর্যাপ্ত প্রাকৃতিক আলো ঢুকতে পারে সে ব্যবস্থা রাখুন। যদিও শহুরে যান্ত্রিক জীবনের বেশিরভাগ বাড়িতেই এ ধরনের ব্যবস্থা থাকে না। তাই ঘর পছন্দ করার সময় এ বিষয়ে খেয়াল রাখুন। যেসব ঘরে সূর্যের আলো বেশি ঢুকে সেখানে একটু ভারী পর্দা দিয়ে আলো নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। আবার যেসব ঘরে দিনের আলো খুব বেশি ঢুকছে না সেখানে হালকা রংয়ের পর্দা ব্যবহার করুন।

বিজ্ঞাপন

ঘরের সঠিক তাপমাত্রা

ঘরের একটি নির্দিষ্ট ও সঠিক তাপমাত্রা আপনার মেজাজকে প্রফুল্ল রাখবে এবং যে কোন কাজে মনোযোগী হতে সাহায্য করবে। আমাদের মতো নাতিশীতোষ্ণ দেশে এটি ধরে রাখা খুব কঠিন। তবে গরমের সময়ে ঘরে বাতাস চলাচল ঠিক রেখে ঘরকে ঠান্ডা রাখতে পারেন। ঘরের সঠিক তাপমাত্রা বজায় রাখার জন্য ফ্যান, এয়ার কন্ডিশনারও ব্যবহার করতে পারেন।

ঘর পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন

বিজ্ঞাপন

ঘর হলো এমন একটি জায়গা যেখানে আপনার সারাদিনের ক্লান্তি দূর হয়, আবার সেখান থেকেই পরের দিনটি নতুন করে শুরু করার শক্তি পান আপনি। একটি পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন ঘর আপনাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ্য রাখবে যা আপনার জীবনকে করবে সুখী ও সাফল্যময়। তাই ঘর সবসময় পরিস্কার রাখুন। প্রতিটি ঘরে সেখানকার প্রয়োজন অনুযায়ী আসবাবপত্র ও অন্যান্য জিনিসপত্র রাখুন। অপ্রয়োজনীয় জিনিস ফেলে দিন। প্রতিদিন অন্তত দশ মিনিট এ কাজে সময় দিন। এ সময়ে ঘরের অপ্রয়োজনীয় জিনিস খুঁজে বের করে বিনে ফেলে দিন। এক সপ্তাহের মধ্যেই আপনার ঘরের পরিবর্তন চোখে পড়বে।

আসবাবপত্রের জায়গা পরিবর্তন করুন

গবেষণায় দেখা গেছে, অনেকেই মনে করেন মহামারীতে ঘরের নকশা মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে অনেক বেশি প্রভাব ফেলেছে। গবেষণায় অংশ নেওয়া বেশিরভাগ মানুষ বলেছে ঘরের নকশা আরেকটু ভালো হলে তারা লকডাউনের সময় আরো বেশি সুখী ও স্বাচ্ছন্দ্য থাকতে পারতেন। তাই একটু সময় নিয়ে ভাবুন, কীভাবে আপনার ঘরটি নকশা করা হয়েছে। সে অনুযায়ী আপনার বাজেটের মধ্যে আরো ভালোভাবে ঘরের জায়গাগুলোর সর্বোত্তম ব্যবহার করার চিন্তা করুন।

ঘরকে দিন সবুজের ছোঁয়া

শহুরে জীবনে প্রকৃতির কাছে যাওয়া তেমন একটা হয় না। তাই আপনার ঘরের ভেতর, বারান্দায় রাখুন গাছ। এটি একদিকে যেমন আপনাকে সুস্থ্য থাকতে সাহায্য করবে, অন্যদিকে ঘরের সৌন্দর্যও বাড়াবে। ইনডোর প্ল্যান্ট আপনার ঘরের বাতাসের ক্ষতিকর রাসায়নিক দূর করে বাতাসকে জীবানুমুক্ত রাখে। তাই ঘরের ভেতর রাখতে পারেন মানিপ্ল্যান্ট, ক্যাকটাস, বনসাই ইত্যাদি। বারান্দায় লাগাতে পারেন ফুল ও শাকসবজির গাছ। তবে ফুলের টবে যাতে পানি না জমে সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখুন।

প্রাকৃতিক ও টেকসই জিনিসপত্র ব্যবহার করুন

বর্তমানে পৃথিবীব্যাপী প্রাকৃতিক ও টেকসই জিনিসপত্র বেশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। তাই আপনার ঘরকে সাজানোর সময় এ বিষয়টি মাথায় রাখুন। যেমন, বাঁশ-বেত ও পাথরের তৈজসপত্র আপনার ঘরকে একদিকে শান্তিময় ও ভালো থাকার নীড় করে গড়ে তুলবে অন্যদিকে আপনাকে অ্যাজমা ও এলার্জি থেকে দূরে রাখবে।

সারাবাংলা/এসএসএস

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন