বিজ্ঞাপন

রোহিঙ্গাদের জন্মসনদ: কারাগারে সুনামগঞ্জের সাবেক প্যানেল মেয়র

January 25, 2021 | 9:01 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

সুনামগঞ্জ: রোহিঙ্গাদের জন্মসনদ প্রদানের মাধ্যমে পাসপোর্ট তৈরি সংক্রান্ত একটি মামলায় সুনামগঞ্জ পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর (প্যানেল মেয়র) হোসেন আহমদ রাসেলের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে সুনামগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কুদরত-এ-ইলাহীর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করলে, আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুনামগঞ্জ কোর্ট ইন্সটেক্টর সেলিম নেওয়াজ।

উল্লেখ্য, প্রতারণার মাধ্যমে দুই রোহিঙ্গা নাগরিককে সুনামগঞ্জ পৌরসভা থেকে জন্মসনদ দেওয়ার মামলায় গত বুধবার সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত, প্যানেল মেয়র হোসেন আহমদ রাসেলসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। ওই মামলার নির্ধারিত তারিখে আদালত পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন এবং মামলার পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন। পরে গত বৃহস্পতিবার আদালত থেকে জামিন নেন পৌর মেয়র নাদের বখ্ত ও আইনজীবী কাওসার আলম।

আদালত থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল হোসেন আহমদ রাসেল, পৌরসভার সহকারী কর আদায়কারী পিযুষ কান্তি তালুকদার, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধক ও স্যানিটারি পরিদর্শক মো. সেলিম উদ্দিন, মেয়র নাদের বখ্ত ও সুনামগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য কাওসার আলম। এই পাঁচজন মামলার এজাহারভুক্ত আসামি নন। পুলিশ অভিযোগপত্রে তাদের নাম যুক্ত করে।

বিজ্ঞাপন

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৪ এপ্রিল সুনামগঞ্জ জেলা পাসপোর্ট কার্যালয়ে নাম ও ঠিকানা পরিবর্তন করে পাসপোর্ট করতে আসেন দুই রোহিঙ্গা। তারা টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে চার ব্যক্তির সহযোগিতায় সুনামগঞ্জে আসেন। এই চার ব্যক্তি জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। ওই দিন সকালে পাসপোর্ট করতে গিয়ে তারা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেন। বিকেলে আবার ছবি তোলা ও আঙুলের ছাপ দিতে পাসপোর্ট কার্যালয়ে গেলে কর্মকর্তাদের সন্দেহ হয়। পরে দুই রোহিঙ্গা ও তাদের সহযোগী চার ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশে দেন পাসপোর্ট কার্যালয়ের কর্মকর্তারা। ওই দিনই প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার তেরানগর গ্রামের চারজনকে আসামি করে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করে পুলিশ।

এর আগে ওই দুই রোহিঙ্গা সুনামগঞ্জ পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের আলীপাড়া এলাকার বর্তমান বাসিন্দা হিসেবে স্থানীয় কাউন্সিলর হোসেন আহমদ রাসেলের সুপারিশে পৌরসভা থেকে জন্ম সনদ নিয়েছিলেন। পরে সেটি সত্যায়িত করেন সুনামগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য কাওসার আলম। এই মামলায় গত ২০ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এতে এজাহারভুক্ত চার আসামি ছাড়াও অভিযুক্তদের তালিকায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়া পাঁচজনের নাম যুক্ত করে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এএম

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন