বিজ্ঞাপন

‘মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া পেয়েছি, আমিই জিতব’

January 26, 2021 | 6:53 pm

রমেন দাশ গুপ্ত, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: প্রচারণায় ‘অভূতপূর্ব সাড়া’ দেখে জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশা দেখছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী। তিনি বলেছেন, মানুষের রায় নিয়ে তিনি অবশ্যই চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দিতে পারবেন।

বিজ্ঞাপন

ভোটের আগেরদিন মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) সারাবাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রেজাউল করিম চৌধুরী এসব কথা বলেন।

সারাবাংলা: প্রচারণায় কেমন সাড়া পেলেন?

রেজাউল: আমি ৮ জানুয়ারি থেকেই প্রচারণা শুরু করেছি। রাতদিন প্রচারণা চালিয়েছি। এলাকায়-এলাকায় গিয়েছি। পাড়া-মহল্লায় গিয়েছি। আমার প্রচারণায় মানুষ যেভাবে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়েছে, আমি অভিভূত। মানুষ ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে দিয়েছে, নিজেরা এসে মিছিলে অংশ নিয়েছে, আমাকে বুকে জড়িয়ে নিয়েছে। শুধু আমার দলের নেতাকর্মীরা না, একেবারে সাধারণ মানুষ আমার প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। আমি সত্যিই অভিভূত। যেখানেই গেছি, শুধু নৌকা আর নৌকা।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা: মানুষের এমন সাড়া দেওয়ার কারণ কী?

রেজাউল: আমি করোনাকালে একদিনও ঘরে বসে থাকিনি। যখন লকডাউন দেওয়া হলো, আমি খাদ্যসামগ্রী নিয়ে মানুষের ঘরে ঘরে ছুটে গেছি। দুঃসময়ে তারা আমাকে পাশে পেয়েছে। আমি নিজেই করোনা আইসোলেশন সেন্টার করেছি। সেখানে অনেক করোনায় আক্রান্ত রোগীকে বিনামূল্যে সেবা দিয়েছি, জীবন রক্ষা করেছি। মানুষ তো তাকেই গ্রহণ করবে, যাকে দুঃসময়ে পাশে পায়।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা: জয়ের ব্যাপারে কতটুকু আশাবাদী?

রেজাউল: জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী। কারণ আমার গণসংযোগে মানুষ আমাকে ক্লিয়ার মেসেজ দিয়েছে— তারা আমার পাশে আছে। প্রচারণায় যেভাবে স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া দিয়েছে, তাতে আমি নিশ্চিত জনগণ নৌকায় ভোট দেবে। আমি অবশ্যই জয়ী হয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র পদটা আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দিতে পারব।

সারাবাংলা: মানুষ কেন আপনাকে ভোট দেবে বলে মনে করছেন?

রেজাউল: দেখুন, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। আমি এই শহরের সন্তান। এই শহরে জন্ম, বেড়ে ওঠা, রাজনীতি। আমার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন। কেউ বলতে পারবে না, রাজনীতিকে ব্যবহার করে আমি কখনো অর্থবিত্তের পেছনে ছুটেছি। অর্থবিত্তের মোহে আমি রাজনীতি করিনি। সেজন্য আমার পিঠে কোনো কালিমা নেই। আমি সারাজীবন মানুষের জন্য রাজনীতি করেছি। মানুষের সমস্যায় ছুটে গেছি, আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি। মানুষ বিশ্বাস করে, আমি মেয়র হলে সিটি করপোরেশনকে সুন্দরভাবে পরিচালনা করতে পারব। আমি দুর্নীতি করব না, এটা মানুষ বিশ্বাস করে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা: বিভিন্ন সভায় সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডও তো তুলে ধরেছেন

রেজাউল: জ্বি, সেটাও একটা বড় বিষয়। দেশের প্রথম টানেল চট্টগ্রামে নির্মিত হচ্ছে। মীরসরাইয়ে অর্থনৈতিক অঞ্চল হচ্ছে। লালখানবাজার থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের কাজ চলছে। আউটার রিং রোড হয়েছে। কালুরঘাটে একটি নতুন সেতু নির্মাণের প্রক্রিয়া চলছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সরকার ছাড়া আর কোনো সরকার কি চট্টগ্রামের উন্নয়নে এত আন্তরিক ছিল? হাজার হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ কি আর কোনো সরকার দিয়েছে? মানুষ কিন্তু উন্নয়ন চায়, জ্বালাও-পোড়াও চায় না। সেজন্যই মানুষ উন্নয়নের পক্ষে নৌকা মার্কায় ভোট দেবে।

সারাবাংলা: বিএনপির মেয়র প্রার্থী শাহাদাত হোসেনকে কতটুকু শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করেন?

রেজাউল: আমি যেহেতু ভোট করতে নেমেছি, আমার কাছে সব প্রতিদ্বন্দ্বীই শক্ত। তবে আমার পক্ষে জনগণ আছে। যিনি জনগণের জন্য রাজনীতি করেন, জনগণের ওপর ভরসা করেন, তার প্রতিদ্বন্দ্বী শক্ত হলেও সমস্যার কিছু নেই। জনগণই তাদের প্রার্থীকে জিতিয়ে আনে। আমি মনে করি, জনগণ আমাকে ভোট দেবে, জনগণ নৌকাকে ভোট দেবে। সুতরাং প্রার্থী শক্ত নাকি দুর্বল— সেটা আমি সেভাবে বিবেচনায় রাখিনি।

সারাবাংলা: কিন্তু বিএনপির প্রার্থী তো প্রতিদিন অনেক অভিযোগ করছেন

রেজাউল: বিএনপির অভিযোগ— তাদের কর্মীদের নাকি গ্রেফতার করা হচ্ছে। আমার কর্মীকেও তো গ্রেফতার করা হয়েছে। চান্দগাঁওয়ে গ্রেফতার হয়েছে, বাকলিয়ায় গ্রেফতার হয়েছে আমার কর্মী। আমি তো কেনো অভিযোগ করিনি। কেউ যদি অপরাধী হয়, বোমা-সন্ত্রাসের মামালার আসামি হয়, অগ্নিসন্ত্রাসের মামলার আসামি হয়, তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার সঙ্গে তো নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই।

সারাবাংলা: মেয়র নির্বাচিত হলে কোন কাজকে প্রথমে অগ্রাধিকার দেবেন?

রেজাউল: চট্টগ্রামের এখন সবচেয়ে বড় সমস্যা জলাবদ্ধতা। প্রধানমন্ত্রী কিন্তু এই জলাবদ্ধতা দূর করতে তিনটি সংস্থার মাধ্যমে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার মতো বরাদ্দ দিয়েছেন। আমার প্রথম কাজ হবে এই কাজে সমন্বয় ও সহযোগিতা করা। নগরীতে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন। আমি সেসব প্রকল্প বাস্তবায়নে সহযোগিতা করব। এছাড়া চট্টগ্রামের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার নাগরিকদের মতামতের ভিত্তিতে সিটি করপোরেশনের কর্মকাণ্ডকে আরও ত্বরান্বিত করব।

সারাবাংলা : আপনাকে ধন্যবাদ।

রেজাউল: সারাবাংলাকেও ধন্যবাদ।

আরও পড়ুন-

অভিযোগেই শেষ শাহাদাতের প্রচারণা

রেজাউলের প্রচারণায় ফেরদৌস-পূর্ণিমাও

চসিক নির্বাচন: নেমেছে বিজিবি, টহল শুরু

শেষদিনের প্রচারণায় চট্টগ্রাম যেন নৌকার শহর!

চসিক নির্বাচন: নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে আসার আহ্বান ইসির

‘একতরফা ভোট ডাকাতির নির্বাচনের দিকেই এগোচ্ছে সরকার’

সারাবাংলা/আরডি/টিআর

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন