বিজ্ঞাপন

‘বিটিএমসি’র বন্ধ মিল চালু করে কর্মসংস্থান তৈরি করা হবে’

January 27, 2021 | 10:15 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস করপোরেশনের (বিটিএমসি) অধীন বন্ধ মিলগুলো পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) মাধ্যমে ফের চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক। এর মাধ্যমে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (২৭ জানুয়ারি) রাতে হোটেল সোনারগাঁওয়ে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) মাধ্যমে বিটিএমসি’র অধীন টেক্সটাইল কারখানাগুলোর আধুনিকায়ন নিয়ে অংশীজনদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, সারাবিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশই প্রথম পিপিপি’র মাধ্যমে দেশের বন্ধ টেক্সটাইল মিলগুলোকে ফের চালুর উদ্যোগ নিয়েছে। বন্ধ এসব কারখানা আবার চালু হলে এসব শিল্প-প্রতিষ্ঠানে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। এ লক্ষ্যে বর্তমান সরকার পর্যায়ক্রমে দেশের সব বন্ধ টেক্সটাইল মিল চালুর চেষ্টা করছে।

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী ২০১৪ সালের ১২ অক্টোবর বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় পরিদর্শনের সময় বিটিএমসি’র বন্ধ মিল চালুর বিষয়ে নির্দেশনা দেন। এরপর বিটিএমসি’র বন্ধ মিলগুলো পিপিপি’র আওতায় পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেয়।

বিজ্ঞাপন

গোলাম দস্তগীর গাজী আরও বলেন, দেশের বিভিন্ন ব্যবসাবান্ধব স্থানে বিটিএমসি’র ২৫টি মিলের ৬৩৬ দশমিক ৩৮ একর জমি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। বিটিএমসি’র ২৫টি মিলের মধ্যে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি (সিসিইএ) ১৬টি মিল ফের চালুর অনুমোদন দেয়। এর মধ্যে দুইটি মিল (কাদেরিয়া টেক্সটাইল মিল ওরিয়ন গ্রুপ ও আহমেদ বাওয়ানী টেক্সটাইল মিল) কনসোর্টিয়াম অব তানজিনা ফ্যাশনকে পিপিপি’র মাধ্যমে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ পর্যায়ে আরও চারটি মিলের (আর আর টেক্সটাইল মিলস লি., দোস্ত টেক্সটাইল মিলস লি., মাগুরা টেক্সটাইল মিলস লি. ও রাজশাহী টেক্সটাইল মিলস) আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হবে। এই জমিগুলো পিপিপি’র মাধ্যমে উৎপাদন খাতে ব্যবহারের ফলে একদিকে যেমন সংশ্লিষ্ট শিল্প প্রতিষ্ঠান লাভবান হবে, অন্যদিকে দেশের জিডিপি বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান তৈরির মাধ্যমে অর্থনীতি আরও সুদৃঢ় হবে।

মন্ত্রী আরও বলেন, বিজেএমসি ও বিটিএমসি’র মিলগুলো পিপিপি মডেলের মাধ্যমে উৎপাদনের ধারায় ফিরিয়ে আনা হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে রূপান্তরের জন্য শিল্পায়নের কোনো বিকল্প নেই। এছাড়াও দেশের বেকার সম্যসা দ্রুত দূর করতে জরুরিভিত্তিতে শিল্পায়নের মাধ্যমে কমর্সংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।

তিনি বলেন, সরকার শিল্পকারখানার ইউটিলিটি সমস্যার সমাধানে আন্তরিক। বন্দর ও যোগাযোগ ব্যবস্থার যথেষ্ট উন্নয়ন এই সরকারের আমলেই সম্পন্ন হয়েছে। বস্ত্র খাতের উদ্যোক্তা, স্টেকহোল্ডারদের বলতে চাই— যখনই বস্ত্রখাতে কোনো সমস্যা হয়েছে, তখনই বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতা করেছে। ভবিষ্যতেও এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে। একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সবসময় আপনাদের পাশে থাকবে।

বিজ্ঞাপন

এসময় গোলাম দস্তগীর গাজী দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিটিএমসি’র মিলগুলোতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, পিপিপি অথরিটির সচিব ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বেগম সুলতানা আফরোজ, বিটিএমসি চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাকির হোসেনসহ অন্যরা।

সারাবাংলা/এসজে/টিআর

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন