বিজ্ঞাপন

‘খুবি উপাচার্যের আচরণ অশিক্ষকসুলভ ও ক্রিমিনাল মাইন্ডের পরিচায়ক’

January 28, 2021 | 3:21 pm

ঢাবি করেস্পন্ডেন্ট

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) উপাচার্যের আচরণ অশিক্ষকসুলভ ও ‘ক্রিমানাল মাইন্ড’-এর পরিচায়ক বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক তানজীম উদ্দীন খান।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) বেলা ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনুষ্ঠিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

খুবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রতি প্রতিহিংসামূলক শাস্তি ও প্রশাসনের দুর্নীতি তদন্তের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক সমাবেশটির আয়োজন করে।

তানজীম উদ্দীন খান বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যে যে তিন জন শিক্ষককে বহিষ্কার করা হয়েছে, তাদের একজন মাতৃকালীন ছুটিতে ছিলেন, অন্যজন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। অথচ উপাচার্য সেখানকার সিভিল সার্জনের কাছ থেকে মিথ্যে সার্টিফিকেট বানিয়ে তাদের সুস্থ প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন কেবল নিজের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করার জন্য। তার এই আচরণ শুধু অশিক্ষকসুলভই নয় বরং সে `ক্রিমিনাল মাইন্ড`-এর প্রকাশ করেছেন।

বিজ্ঞাপন

সমাবেশে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক রুশাদ ফরিদী বলেন, ‘দেশে এখন বিচারহীনতার সংস্কৃতি চলছে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে ঘটনা, এটি মূলত গত কয়েকবছরের ঘটনাগুলোর ধারাবাহিকতা মাত্র। আপনারা জানেন যে, কয়েক বছর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষককে এক ছাত্রের করা মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়কে অন্যভাবে দেখলে চলবে না। এখানে আলোকিত লোকজনরা থাকেন। আমাদের ওপর জনগণের যে আস্থা আছে, আমরা পূর্ণ করতে পারিনি। ভয়ের সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে এসে এক হতে পারিনি।’

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ভবন ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দিয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস সমাবেশে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্মার্থ বুঝতে ব্যর্থ হয়েও তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হয়েছেন। আপনারা বলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি করতে দেওয়া যাবে না, অথচ রাষ্ট্র একটি রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। আমরা খুলনায় যাব আপনার উপাচার্য ভবন ঘেরাও করবো।’

এছাড়া সমাবেশে উপস্থিত শিক্ষকরা জানান, ফেব্রুয়ারির ৭ তারিখের মধ্যে তিন শিক্ষক ও দুই শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার না করা হলে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

বিজ্ঞাপন

এ ছাড়া শিক্ষক নেটওয়ার্কের পক্ষ থেকে আজ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর চিঠি দেওয়া হয়েছে বলেও জানানো হয়।

প্রতিবাদ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলা বিভাগের শিক্ষক রিয়াজুস সালেকিন, মোহাম্মদ আজম, ইংরেজি বিভাগের তাসনিম সিরাজ মাহবুব, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক সৌম্য সরকারসহ অন্য শিক্ষকরা।

উল্লেখ্য, ‘অসৌজন্যমূলক আচরণ’ করার অভিযোগে গত ১৩ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী মোহাম্মদ মোবারক হোসেন নোমান এবং ইমামুল ইসলামকে বিভিন্ন মেয়াদে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করে কর্তৃপক্ষ।

এরপর পরে ২২ জানুয়ারি তিন শিক্ষককে বহিষ্কার করে কর্তৃপক্ষ৷ তারা হলেন—বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবুল ফজল, একই বিভাগের প্রভাষক শাকিলা আলম ও ইতিহাস ও সভ্যতা বিভাগের শিক্ষক হৈমন্তী শুক্লা কাবেরী৷

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আরআইআর/এমআই

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন