বিজ্ঞাপন

রফতানিতে ভারতের জন্য ‘শিক্ষণীয়’ বাংলাদেশ, লোকসভায় উপস্থাপিত জরিপ

January 31, 2021 | 6:56 pm

আতিকুল ইসলাম ইমন, সারাবাংলা ডেস্ক

ঢাকা: এক দশকে রফতানি খাতের অগ্রগতিতে ভারতকে ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ। রফতানিতে বাংলাদেশের এমন অগ্রগতি ভারতের জন্য শিক্ষণীয় হতে পারে। ২০১৫ সাল থেকে বাংলাদেশের শীর্ষ পাঁচটি রফতানি পণ্য মোট রফতানির ৯০ ভাগ দখল করেছে। এই পাঁচ রফতানি পণ্য টেক্সটাইল, তৈরি পোশাক ও পাদুকা শিল্পের মতো শ্রমঘন খাতের পণ্য। অন্যদিকে ভারতের ক্ষেত্রে শীর্ষ পাঁচটি রফতানি পণ্য দেশটির মোট রফতানির ৪০ ভাগ।

বিজ্ঞাপন

গত শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) ভারতের লোকসভায় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ এক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। ওই প্রতিবেদনে বাংলাদেশ ও ভারতের রফতানি খাতের তুলনা করে এসব উল্লেখ করা হয়েছে।

ভারত সরকারের  অর্থনৈতিক সমীক্ষাটি ‘দি ইকোনমিক সার্ভে ২০২১’ শিরোনামে প্রকাশ করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীন ডিপার্টমেন্ট অব ইকোনমিক অ্যাফেয়ার্স। শুক্রবার চলমান বাজেট অধিবেশনে দেশটির অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ প্রতিবেদনটি সংক্ষিপ্ত আকারে লোকসভায় উপস্থাপন করেন। ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয় প্রতি বছর বাজেট সহায়ক হিসেবে এ অর্থনৈতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন প্রকাশ করে থাকে। ১ ফেব্রুয়ারি লোকসভায় বাজেট পেশ করবেন নির্মলা সীতারমণ।

‘দি ইকোনমিক সার্ভে ২০২১’ শীর্ষক প্রতিবেদনটিতে দেখানো হয়েছে, ২০১১ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের বার্ষিক রফতানি প্রবৃদ্ধি গড়ে ৮ দশমিক ৬ শতাংশ চক্রবৃদ্ধি হারে (সিএজিআর) অর্জিত হয়েছে। একইসময় ভারতের রফতানি খাতের প্রবৃদ্ধির হার ছিল শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ। অন্যদিকে বৈশ্বিক গড় ছিল শূন্য ৪ দশমিক শতাংশ।

বিজ্ঞাপন

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১১ সালে বৈশ্বিক রফতানিতে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ ছিল শূন্য দশমিক ১ শতাংশ। তবে মাত্র এক দশকেরও কম সময়ে, অর্থাৎ ২০১৯ সালে এসে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে শূন্য দশমিক ৩ শতাংশে।

প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ আছে, বাংলাদেশের শীর্ষ পাঁচ রফতানি পণ্যগুলো বস্ত্র, তৈরি পোশাক, পাদুকা শিল্পের মতো শ্রমঘন খাতের পণ্য। এসব খাতে দক্ষ, স্বল্প দক্ষ শ্রমিকরা কাজ করতে পারে। এসব খাতের পণ্য বাংলাদেশের মোট রফতানির ৯০ ভাগ দখল করে আছে। অন্যদিকে ভারতের শীর্ষ রফতানি পণ্যগুলো মূলত মূলধন ও প্রযুক্তিনির্ভর খাতের পণ্য। আর ভারতের রফতানি খাতে এই শীর্ষ পাঁচ পণ্যের অবদান ৪০ শতাংশ।

এসব তথ্য-উপাত্ত উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রফতানিতে প্রতিযোগিতামূলক পণ্যগুলোকে বিশেষায়িত করার ‘শিক্ষা’ নিতে পারে ভারত।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আইই

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন