পশ্চিমবঙ্গে ‘ডাবল ইঞ্জিন’ সরকার চালাবে বিজেপি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সাবেক প্রধান অমিত শাহ বলেছেন, এবার দুই শতাধিক আসন পেয়ে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় আসবে বিজেপি। গুন্ডা দিয়ে ভোট করা যাবে না। মমতাকে হটানোর জন্য মানুষ প্রস্তুত। একদিকে কেন্দ্রে মোদি, অন্যদিকে এই রাজ্যে বিজেপি সরকার। এই ডাবল ইঞ্জিন সরকারই একযোগে বাংলাকে সোনার বাংলায় পরিণত করবে। খবর পিটিআই।

বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কোচবিহারের রাসলীলা ময়দানে এক জনসভায় অমিত শাহ এসব কথা বলেন। কোচবিহারে এসেই প্রথমে অমিত শাহ যান ঐতিহাসিক মদনমোহন মন্দিরে। সেখানে পূজা দিয়ে আসেন রাসলীলা ময়দানে। জনসভার পর তিনি নির্বাচনি রথযাত্রার উদ্বোধন করেন।

পশ্চিমবঙ্গে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রচারের লক্ষ্যে ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে বিজেপি শুরু করেছে নির্বাচনি রথযাত্রা। রাজ্যের পাঁচ প্রান্ত থেকে চলবে এই রথযাত্রা। ইতোমধ্যেই তিনটি রথযাত্রা শুরুও হয়েছে। ৬ ফেব্রুয়ারি প্রথম রথযাত্রা শুরু হয় নদীয়ার নবদ্বীপ থেকে। ৯ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় এবং তৃতীয় রথযাত্রা শুরু হয় বীরভূমের তারাপীঠ এবং ঝাড়গ্রামের লালগড় থেকে। এ তিন রথযাত্রার সূচনা করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা।

কোচবিহারের জনসভায় অমিত শাহ বলেন, এই কোচবিহারের রাজবংশীদের যথার্থ সম্মান দেননি মমতা। বিজেপি ক্ষমতায় এলে রাজবংশীদের যথার্থ সম্মান দেওয়া হবে। ২৫০ কোটি রুপি ব্যয়ে গড়ে তোলা হবে রাজবংশী সংস্কৃতিকেন্দ্র। তিনি আরও বলেছেন, এই অঞ্চলকে বিশেষ পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে।

মানুষ তৃণমূলকে ত্যাগ করেছে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেছেন, এত দিন পশ্চিমবঙ্গ শাসন করেছে কংগ্রেস, বাম দল ও তৃণমূল কংগ্রেস। এবার সময় এসেছে বিজেপির সরকার গড়ার। মানুষ তৃণমূলকে পরিত্যাগ করেছে। কাছে টেনে নিয়েছে বিজেপিকে।

তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ব্যর্থ হয়েছেন মমতা। তার আমলে ১৩০ বিজেপিকর্মী খুন হয়েছেন। এই দিদি শুধু ভাইপোর স্বার্থের কথা ভাবেন। ভাবেন তাকে এই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী করার কথা। কিন্তু বাংলার মানুষ আর দিদি-ভাইপোকে চাইছে না। তিনি তো একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের স্বার্থের কথা ভাবেন। তাই এবারে পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন হবে এক ঐতিহাসিক নির্বাচন। এই নির্বাচনে বিজেপি জয়ী হয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে সঙ্গে নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে ডাবল ইঞ্জিন সরকার চালাবে।

সারাবাংলা/একেএম