বিজ্ঞাপন

এক সপ্তাহের মধ্যে পায়রা বন্দরের ওয়ার্কপ্ল্যান দেওয়ার নির্দেশ

February 16, 2021 | 4:16 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: এক সপ্তাহের মধ্যে পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দরের টোটাল ওয়ার্কপ্ল্যান তৈরি করে জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, আগামী জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) পরবর্তী সভায় এই পরিকল্পনা উপস্থাপন করতে হবে। এ বিষয়ে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতেও বলেছেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) একনেক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশ দিয়েছেন। বৈঠকে নিজের সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে যুক্ত ছিলেন তিনি। পরে বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন।

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ঢাকা-সিলেট চার লেন প্রকল্পে টোল আদায়ের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বলেছেন, এই টাকা শুধু যে রাজস্ব খাতে জমা হবে, তা নয়; এর একটি অংশ আলাদা অ্যাকাউন্টে রাখা যাবে। এই টাকা দিয়েই ওই রাস্তা সংস্কার করতে হবে।

এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বিনা পয়সার দিন শেষ। সরকারের নীতি হচ্ছে সব বড় মহাসড়কে টোল আদায় করা হবে। কথা আছে ফেলো করি মাখো তেল। সরকারি সেবা নিতে গেলে পয়সা খরচ করতে হবে। আগের বিনা পয়সার ধারণার দিন শেষ। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন সড়কে পর্যাপ্ত বিশ্রামের জায়গা থাকতে হবে, যেখানে চালকের পাশাপাশি সহকারীরাও যেন বিশ্রাম নিতে পারে।

বিজ্ঞাপন

একনেক বৈঠকে আরেক প্রকল্পের অনুমোদন দিতে গিয়ে প্রধামন্ত্রী বলেছেন, হালদা নদীতে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হলে সতর্ক হতে হবে, যেন মা মাছের কোনো ক্ষতি না হয়। এ বিষয়ে মৎস্যবিজ্ঞানীদের সঙ্গে কাজ করতে হবে। বৈঠকে নদীগুলোতে ড্রেজিং করতে হলে কাজ শুরু হওয়ার পর শেষ না হওয়া পর্যন্ত যেন কাজ বন্ধ না হয়, সে বিষয়েও সতর্ক থাকতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, মাঝ পথে কাজ বাকি রেখে চলে যাওয়া যাবে না।

পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিনি সোমবারের মন্ত্রিসভার বৈঠক ও মঙ্গলবারের একনেক বৈঠকের জন্য অপেক্ষা করে থাকেন। তবে মন্ত্রিসভার বৈঠকের চেয়ে একনেক বৈঠকের জন্যই বেশি অপেক্ষা করেন। কেননা, এই বৈঠক থেকেই উন্নয়ন প্রকল্পগুলো অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এই বৈঠকেই বাংলাদেশের উন্নয়নসহ আশা-আকাঙ্ক্ষা সবকিছুই নির্ভর করে।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, জীবনের শেষ বেলায় এসে এই কাজে আমি সামিল হতে পেরেছি বলে নিজেও গর্বিত বোধ করছি। এই কাজের জন্য প্রধানমন্ত্রী নিজেই প্রকাশ্যে প্রশংসা করেছেন। তিনি আরও বলেছেন, আগে অনেক কাজ সময়মতো হতো না। আমরা সরকারে আসার পর নিয়মিত এই বৈঠক আয়োজনের সংস্কৃতি গড়ে তুলেছি। শুধু কোভিডের কয়েকটা দিন বাদ দিলে প্রতি মঙ্গলবারই এই বৈঠক হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জেজে/টিআর

Tags: , , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন