বিজ্ঞাপন

ইংরেজিতে সাইনবোর্ড, ২৯ প্রতিষ্ঠানকে পৌনে ২ লাখ টাকা জরিমানা

February 18, 2021 | 6:58 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড ও নামফলক বাংলায় লেখা নিশ্চিত করতে অভিযান শুরু করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) পাঁচটি ভ্রাম্যমাণ আদালত। প্রথম দিন রাজধানীর বনানী ও রামপুরা এবং এর আশপাশের এলাকায় অভিযান চালানো হয়েছে। পাঁচটি ভ্রাম্যমাণ আদালত ২৯টি ভবন ও প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ ৭৭ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত এই অভিযান চলে। ডিএনসিসি’র পাঁচ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অভিযানে নেতৃত্ব দেন।

অভিযানে বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউতে অঞ্চল-৩-এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল বাকীর নেতৃত্বাধীন টিম সাইনবোর্ড বাংলা ভাষায় না লেখায় ১০টি ভবন ও প্রতিষ্ঠানকে মোট ৫৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করে।

বিজ্ঞাপন

এর মধ্যে আহমেদ টাওয়ার, এ আর টাওয়ার, সফুরা টাওয়ার, ইরেকার্ট হাউজ, বোরাক টাওয়ার, অ্যাসুরেন্স, ভিশন কেয়ার, মটকা কিচেন ও চাটাই— এই আটটি প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে জমিরানা করেন। এসময় আরও দুইটি প্রতিষ্ঠানকে দুই হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।

অভিযানে ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক ও সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স (এসবিএসি) ব্যাংককেও একই অপরাধে দুই হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। এসব ভবন ও প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড অপসারণ করে বাংলা ভাষায় প্রতিস্থাপন করার জন্য সাত দিন সময় বেঁধে দেওয়া হয়। অভিযানে ওই এলাকার ফুটপাত অবৈধভাবে দখল করার অপরাধে একটি ফুলের দোকানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউতে প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবদুল হামিদ মিয়ার নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্ট আরও তিনটি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৯ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

বিজ্ঞাপন

রাজধানীর রামপুরা এলাকায় দুপুর সোয়া ১২টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত অভিযান চালান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ। অভিযানে রামপুরা এলাকায় ছয়টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৪৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড উচ্ছেদ করা হয়।

এর মধ্যে আল কাদেরিয়া হোটেলকে ১০ হাজার, এসকোয়ার ইলেকট্রনিক্সকে ৫ হাজার, অরেঞ্জ ফার্নিচারকে ৫ হাজার, রানার মোটরসাইকেলের দোকানকে ১০ হাজার, জুতার দোকান বোলিংকে ১৫ হাজার ও ভিভো মোবাইল ফোনের দোকানকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাংলায় সাইনবোর্ড প্রতিস্থাপনের জন্য এক সপ্তাহের সময় দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। আর পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড অপসারণ করা হয়েছে সেগুলো হলো— জামা-কাপড়ের দোকান ফেস, খাবার দোকান ফিশারম্যান, কাপড়ের দোকান রেমন্ড, কাপড়ের দোকান টারগেট ও মোবাইল ফোনের দোকান ভিভো।

এসময় আরেক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিফাত ফেরদৌসের নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত রামপুরা এলাকায় ক্রিসেন্ট সুপার শপকে ১০ হাজার ও স্প্যান জুতার দোকানকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

বিজ্ঞাপন

একই সময় আরেকটি টিমের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পার্শিয়া সুলতানা সাইনবোর্ড বাংলায় না লেখায় রামপুরায় পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এর মধ্যে ট্রান্সকম ইলেকট্রনিক্স, নাদিয়া ফার্নিচার ও ব্রাদার্স ফার্নিচারকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।

সারাবাংলা/এসএইচ/টিআর

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন