বিজ্ঞাপন

জনগোষ্ঠীর এক শতাংশ ভ্যাকসিনের আওতায়— ১৫টি দেশের একটি বাংলাদেশ

February 19, 2021 | 11:21 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এ এস এম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের মোট জনগোষ্ঠীর এক শতাংশ করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের আওতায় এসেছে। করোনা প্রতিরোধে পৃথিবীর অনেক দেশেই ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু হয়েছে, কিন্তু তার মধ্যে খুব অল্প দেশই মোট জনসংখ্যার এক শতাংশ মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ সম্পন্ন করেছে।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ‘করোনা সংক্রমণের গতিবিধি ও টিকা’ শীর্ষক বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএইচআরএফ) সংলাপ অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান ডা. এ এস এম আলমগীর।

বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এই সংলাপে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন আইইডিসিআর’র এই প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা। বিএইচআরএফের সভাপতি তৌফিক মারুফের সঞ্চালনায় সংলাপ অনুষ্ঠানের শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ রাব্বি।

সংলাপ অনুষ্ঠানে ডা. আলমগীর বলেন, যেসব দেশে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে তার মধ্যে ১৫টির বেশি দেশ মোট জনসংখ্যার এক শতাংশের বেশি ভ্যাকসিন আওতায় আসতে পেরেছে। বাংলাদেশ তার মধ্যে একটি। ইসরায়েল এক শতাংশের চেয়েও কিছু বেশি মানুষকে ভ্যাকসিন দিয়েছে, কিন্তু তাদের জনসংখ্যা অনেক কম। এছাড়া যুক্তরাজ্য ২৩ শতাংশ মানুষকে ভ্যাকসিন দিতে পেরেছে। আবার আমাদের আগে ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু করার পরও জনসংখ্যা বেশি বিধায় ভারতও ওই টার্গেটে যেতে পারেনি।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘কোভ্যাক্স থেকে মোট জনগোষ্ঠীর ২০ শতাংশকে ভ্যাকসিন সরবরাহ করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। তবে এটি বেড়ে ২৭ শতাংশ হতে পারে। দেশে এখন ক্লাস্টারভিত্তিক সংক্রমণ চলছে কিনা তা এ সপ্তাহের মধ্যেই জানা যাবে।’

গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের কম জানিয়ে ডা. আলমগীর বলেন, ‘আমরা স্বস্তির একটি পরিবেশে আছি, তবে এর মানে এই নয় সংক্রমণ কমে গেছে। বিশ্বের অনেক দেশেই সংক্রমণের হার কমে যাওয়ার পর পুনরায় তা বেড়েছে। তাই আমাদের ঢিলেমি দিলে চলবে না। ভ্যাকসিন নেওয়ার পাশাপাশি মাস্ক পরা, ঘন ঘন সাবান পানি দিয়ে হাত ধোয়া, জনসমাবেশ এড়িয়ে চলার মতো স্বাস্থ্যবিধিগুলো আমাদের মানতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে ভ্যাকসিন মৃত্যু কমাবে।’

বিজ্ঞাপন

করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে ভ্যাকসিন একটি অন্যতম পন্থা হলেও এটি একমাত্র পন্থা নয় বলে মন্তব্য করেন ডা. আলমগীর।

সংলাপ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- ইউজিসি অধ্যাপক ও প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ও কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান, একুশে পদকপ্রাপ্ত অণুজীব বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. সমীর কুমার সাহা, স্বাস্থ্য অধিদফতরের জনস্বাস্থ্য বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ডা. আবু জামিল ফয়সালসহ অন্যরা।

উল্লেখ্য, দেশে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ৭ ফেব্রুয়ারি জাতীয়ভাবে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচি শুরু হয়। ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ভ্যাকসিন নিয়েছেন ১৮ লাখ ৪৮ হাজার ৩১৩ জন, যা কিনা বাংলাদেশের মোট জনগোষ্ঠীর এক শতাংশের চেয়েও কিছুটা বেশি।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসবি/এমও

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন