বিজ্ঞাপন

আগামী প্রজন্ম আপনাদের থেকে অনেক শিক্ষা নিতে পারবে: প্রধানমন্ত্রী

February 20, 2021 | 1:09 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: মহান একুশে পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এটা শুধু আপনাদের সম্মাননা না। এটা জাতির জন্য সম্মাননা, দেশের মানুষের জন্য সম্মাননা। যারা দেশের সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রেখে যাচ্ছেন, তাদেরকেই এই সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে একুশে পদক-২০২১ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি এই পদক তুলে দেন। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তার মন্ত্রীপরিষদের সিনিয়র সদস্য মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক পুরস্কার হস্তান্তর করেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব বদরুল আরেফীন। পদকপ্রাপ্তদের সংক্ষিপ্ত জীবনী পাঠ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ। ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন প্রান্তে দেশের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানরা ছাড়াও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

তার আগে একে একে জাতীয় বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২১ সালে একুশে পদকপ্রাপ্ত ২১ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভাষা আন্দোলনের বিভিন্ন পটভূমি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, যারা রক্ত দিয়ে মাতৃভাষায় কথা বলাই নয়, স্বাধীনতা অর্জনের পথ তৈরি করে দিয়েছিল তাদের প্রতি সম্মান জানাই। আপনারা সেই ভাষা শহীদ এবং ভাষা সৈনিকদের নামে পুরস্কার পেয়েছেন।

সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনাদের কাছ থেকে আগামী প্রজন্ম অনেক শিক্ষা নিতে পারবে। কারণ এই পুরস্কার দেশের শিল্প-সাহিত্য, বিজ্ঞান গবেষণা, সংস্কৃতি চর্চা, সমাজসেবাসহ বিভিন্ন কাজে যারা বিভিন্ন অবদান রেখে যাচ্ছেন, তাদেরকেই এই সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।

২১ জনকে পদক দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা যেহেতু ২১ ফেব্রুয়ারি। তাই ২১ জনকেই এখন থেকে আমরা সম্মাননা দিচ্ছি।

বিজ্ঞাপন

এ বছর একুশে পদকপ্রাপ্তরা হলেন ভাষা আন্দোলনে মরহুম মোতাহার হোসেন তালুকদার (মোতাহার মাস্টার) (মরণোত্তর), মরহুম শামছুল হক (মরণোত্তর) ও মরহুম আফসার উদ্দিন (মরণোত্তর)। শিল্পকলা বিভাগে সঙ্গীতে পাপিয়া সরোয়ার, অভিনয়ে রাইসুল ইসলাম আসাদ, সালমা বেগম সুজাতা (সুজাতা আজিম), নাটকে আহমেদ ইকবাল হায়দার, চলচ্চিত্রে সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী, আবৃত্তিতে ড. ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায় ও আলোকচিত্রে পাভেল রহমান। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধে গোলাম হাসনায়েন, ফজলুল রহমান খান ফারুক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুমা সৈয়দা ইসাবেলা (মরণোত্তর), সাংবাদিকতায় অজয় দাসগুপ্ত, গবেষণায় ড. সমীর কুমার সাহা, শিক্ষায় মাহফুজা খানম, অর্থনীতিতে ড. মির্জা আব্দুল জলিল, সমাজসেবায় প্রফেসর কাজী কামরুজ্জামান এবং ভাষা ও সাহিত্যে এ সম্মাননা পেয়েছেন কবি কাজী রোজী, বুলবুল চৌধুরী ও গোলাম মুরশিদ।

 

সারাবাংলা/এনআর/এএম

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন