বিজ্ঞাপন

মশার বিরুদ্ধে ‘কামান দাগিয়ে’ রেজাউলের ১০০ দিনের কর্মসূচি শুরু

February 20, 2021 | 4:49 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: নির্বাচনের আগে ঘোষিত ইশতেহারে না থাকলেও নগরবাসীকে মশার উৎপাত থেকে রক্ষা করতে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম দিয়ে ১০০ দিনের অগ্রাধিকার কর্মসূচি শুরু করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে নিজ এলাকা নগরীর চান্দগাঁও ওয়ার্ডে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে ১০০ দিনের কর্মসূচি শুরু করেন মেয়র রেজাউল। এ সময় তিনি নগরবাসীকে ‘নিজ গরজেই’ বাসাবাড়ির চারপাশ পরিচ্ছন্ন রাখা এবং খাল-নালায় ময়লা না ফেলার অনুরোধ করেন।

কর্মসূচির উদ্বোধন করে এলাকাবাসীর উদ্দেশে রেজাউল বলেন, ‘আমরা বাসার ময়লা-আবর্জনা কোথায় ফেলি? খালে-নালায়। সেই আর্বজনা জমে খাল ভরাট হয়ে যায়। বর্ষাকালে জলাবদ্ধতা হয়। মশার প্রজনন হয়। মশার যন্ত্রণায় আমরা নিজেরাই অতীষ্ঠ হয়ে উঠি। দোষ হয় কার? মেয়রের। কিন্তু আপনাদের ভাবতে হবে যে, এই শহর শুধু মেয়রের নয়। এই শহর আপনার-আমার, সবার। আমরা কেউ যেন খাল-নালায় ময়লা-আবর্জনা না ফেলি।’

‘সিটি করপোরেশন মশা নিধনের জন্য ওষুধ ছিটাবে। খাল-নালা, প্রকাশ্য স্থান থেকে আবর্জনা-বর্জ্য পরিষ্কার করবে। কিন্তু এভাবে মশা নিধন ও পরিচ্ছন্নতা সম্ভব নয়। সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন আপনাদের সচেতনতা। মশার প্রজনন ও উৎপত্তিস্থল নিজ গরজেই ধ্বংস করতে হবে। নালা-নর্দমায়, খালে বর্জ্য-আবর্জনা ফেলতে পারবেন না। এটা দণ্ডনীয় অপরাধ’-বলেন রেজাউল।

বিজ্ঞাপন

এসময় তাৎক্ষণিকভাবে মশার ওষুধও ছিটানো হয়। রেজাউল জানিয়েছেন, মশার ওষুধ কার্যকরী কি না সেটা জানতে ঢাকায় ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে।

গত ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে মেয়র পদে বিজয়ী হন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী। ১৫ ফেব্রুয়ারি তিনি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেন। নির্বাচনের আগে ২৩ জানুয়ারি রেজাউল ৩৭ দফার ইশতেহার ঘোষণা করেছিলেন। এতে প্রধান প্রতিশ্রুতি হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন জলাবদ্ধতা নিরসনকে। ঘোষণা করেছিলেন ১০০ দিনের অগ্রাধিকার কর্মসূচিও।

তবে দায়িত্ব গ্রহণের দিন সুধী সমাবেশে রেজাউল প্রথম কাজ হিসেবে মশা নিধনের ঘোষণা দেন। এছাড়া ১০০ দিনের অগ্রাধিকার কর্মসূচির মধ্যে নগরীর ভাঙা রাস্তাঘাট মেরামতের ঘোষণাও তিনি দিয়েছিলেন।

বিজ্ঞাপন

১০০ দিনের কর্মসূচির উদ্বোধনীতে মেয়র রেজাউল রাস্তা মেরামতের বিষয়ে বলেন, ‘নগরীর অনেক সড়ক যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী। এগুলো একসঙ্গে সংস্কার বা মেরামত করা সম্ভব নয়। যেগুলোর বেশি বেহাল অবস্থা, সেগুলো আগে-ভাগে মেরামত ও খানাখন্দক ভরাট করা হবে। কোনো সমস্যার সমাধান রাতারাতি হবে না। তবে সমস্যার সমাধানে আমি সচেষ্ট। যে কোনো নাগরিক সমস্যা বা দুর্ভোগ আমাকে অবহিত করা হলে নিরসনে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

এসময় স্থানীয় কাউন্সিলর এসারুল হক, মোহাম্মদ শহিদুল আলম ও এম আশরাফুল আলম, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মফিদুল আলমসহ সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা ছিলেন।

সারাবাংলা/আরডি/এমআই

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন