বিজ্ঞাপন

৯০‘র পর থেকেই দেশে গণতান্ত্রিক চর্চা নেই: জিএম কাদের

February 21, 2021 | 6:56 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদের এমপি বলেছেন, সংসদীয় গণতন্ত্রের নামে সংবিধানে ৭০ ধারা সংযোজনের কারণে সরকার প্রধানের অধীনে দেশের নির্বাহী বিভাগ, আইন বিভাগ ও নিম্ন আদালত। আবার উচ্চ আদালতের নিয়োগ থেকে অনেক কিছুই সরকার প্রধানের প্রভাব থাকে, যাতে কোনোমতেই গণতান্ত্রিক চর্চা সম্ভব নয়। তাই ৯০ সালের পর থেকেই দেশে গণতান্ত্রিক চর্চা নেই।

বিজ্ঞাপন

রোববার (২১ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেন, ‘ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদই সর্বস্তরে বাংলাভাষা প্রচলনের আইন করেছিলেন। অনেক ক্ষেত্রেই তা বাস্তবায়ন হলেও উচ্চ আদালতে এখনো পুরোপুরি বাংলার প্রচলন হয়নি। কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার ডিজাইন অনুযায়ী তৈরি করে ভাষা শহিদদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছিলেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।’

সভাপতির বক্তৃতায় জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘ভাষা আন্দোলন আমাদের অন্যায়-অবিচারের কাছে মাথা নত না করে প্রতিবাদ করতে শিক্ষা দেয়। তাই জাতীয় পার্টি প্রতিটি অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে দেশের মানুষের পক্ষে আপোষহীন ভাবে প্রতিবাদ করবে। দেশ ও মানুষের অধিকারের প্রশ্নে জাতীয় পার্টি কখনোই আপোষ করবে না। নির্ভয়ে গণমানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে জাতীয় পার্টি সবসময় সামনের সারিতে থাকবে। গণমানুষের মুক্তি ও অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়বে জাতীয় পার্টি।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘একুশের ধারাবাহিকতায় মুক্তির জন্য স্বাধীনতা সংগ্রাম হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি, কিন্তু এখনো আমরা মুক্তি পাইনি। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ক্ষমতা হস্তান্তরের পর থেকে দেশে সংসদীয় গণতন্ত্রের নামে সংসদীয় একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এতে একদিকে বৈষম্য বেড়েছে, অপরদিকে জবাবদিহিতা নেই কোথাও।’

আলোচনার সভার আগে ও পরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ও সাংস্কৃতিক পার্টির আহ্বায়ক শেরিফা কাদেরের তত্ত্বাবধানে এবং সদস্য সচিব আলাউদ্দিন আহমেদের উপস্থাপনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টির সদস্যরা।

মাতৃভাষা দিবসের আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন- জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও অতিরিক্ত মহাসচিব অ্যাডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মো. মসিউর রহমান রাঙ্গা এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য এস.এম. ফয়সল চিশতী, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহমুদুর রহমান মাহমুদ, হেনা খান পন্নি, ভাইস চেয়ারম্যান ও জাতীয় যুব সংহতির আহ্বায়ক এইচ এম শাহরিয়ার আসিফ, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, ইকবাল হোসেন তাপস, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা পার্টির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসহাক ভূঁইয়া।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এএইচএইচ/পিটিএম

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন