বিজ্ঞাপন

‘জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দায় আছে’

March 21, 2018 | 9:50 am

।। নিউইয়র্ক থেকে ।।  

বিজ্ঞাপন

জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ প্রভাব মোকাবেলায় বাংলাদেশের পাশে থাকতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে সৃষ্ট পরিস্থিতি মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দায় আছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যেসব গ্রামীণ নারীরা বিপদাপন্ন হচ্ছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে তাদের পাশে থাকতে হবে।

মঙ্গলবার (২০ মার্চ) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে কমিশন অন দ্যা স্ট্যাটাস অব উইমেন (সিএসডব্লিউ) এর চলতি ৬২তম অধিবেশনের আওতায় বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন আয়োজিত ‘দায় ভাগ: জলবায়ু সৃষ্ট বাস্তুচ্যুতিতে গ্রামীণ নারী’  শীর্ষক অনুষ্ঠানের সাইড ইভেন্টে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন মেহের আফরোজ চুমকি।

বিজ্ঞাপন

প্রতিমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন অনেক আগের কোনো ঘটনা নয়; এটি আমাদের জীবদ্দশাতেই সৃষ্টি হয়েছে, তাই আমাদেরকেই এর মোকাবেলা করতে হবে।

এসময় বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের বৈরি প্রভাব এবং এর সংবেদনশীলতার বিষয়ে নানা তথ্য তুলে ধরেন প্রতিমন্ত্রী। পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ প্রভাব মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত নানা পদক্ষেপের কথাও তুলে ধরেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সরকার জলবায়ু-ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে ‘আশ্রয়ণ’ ও ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পসহ নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। দুর্যোগ পরবর্তী পরিস্থিতিতে খাপ খেয়ে চলা এবং পুনরায় স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার জন্য সরকার বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।  এছাড়া ঘূর্ণিঝড় প্রবণ এলাকায় নিরাপদ পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা ও নিরাপদ পানি সরবরাহের লক্ষ্যে নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় নারী ও শিশুদের জন্য প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ও ইউএন উইমেন এর নির্বাহী পরিচালক মিজ ফুমজিলে ম্যালাম্বে-নগোচুকা। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ও সহায়তা দেওয়ায় তিনি বাংলাদেশের প্রশংসা করে বলেন, আমি রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছি। বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা প্রদানে বাংলাদেশ সরকার ও সেদেশের জনগণ যে অান্তরিকতা দেখিয়েছেন তা নজিরবিহীন। সেখানে বাংলাদেশের নারীদেরও রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়াতে দেখেছি।

অনুষ্ঠানে আরও অংশ নেন, নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসিমা বেগম এনডিসি, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার নিউইয়র্কের লিয়াজোঁ অফিসের পরিচালক মিজ কারলা মুকাভি ‘ওপেন দ্যা ডোর’ এর কো-ফাউন্ডার মিজ মলি গার্কে  ও মাইগ্রেশন এর থিমেটিক বিশেষজ্ঞ মিজ মারিয়াম তরাওরে চাজালনোয়েল। ইভেন্টটির মডারেটর ছিলেন এনজিও কমিটি অন মাইগ্রেশন এর প্রতিনিধি মিজ তেরেসা ব্লুম্যানস্টেইন।

সারাবাংলা/আইএ

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন