বিজ্ঞাপন

রাজনীতিবিদরা ‘যেভাবেই হোক’ নির্বাচনে জিততে চান: শাহাদাত

February 27, 2021 | 7:30 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এবং রাজনৈতিক কর্মীদের ওপর দায় চাপিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদাত হোসেন চৌধুরী।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম নগরীর সার্কিট হাউজে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি বিষয়টি উল্লেখ করে বক্তব্য দেন। পঞ্চম ধাপের পৌরসভা নির্বাচন এবং সিটি করপোরেশনের একটি ওয়ার্ডের নির্বাচনকে সামনে রেখে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘রাজনীতিবিদেরা যখন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তখন তারা একটি কাউন্সিলর পদও ছাড় দিতে চান না। তারা চান যেভাবেই হোক নির্বাচনে যেন তারাই জেতেন। নির্বাচনি পরিবেশ নষ্ট করার জন্য এই অতি উৎসাহী প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এবং কিছু রাজনৈতিক কর্মী দায়ী। ভোটারই ঠিক করবে কাকে ভোট দেবে। আর সেটা যদি না হয় শেষ পর্যন্ত দুর্নামটা কমিশনের ওপর আসে।’

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, জেলা পুলিশ সুপার রাশেদুল হক, নগর পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার মেহেদী হাসান, চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান।

বিজ্ঞাপন

এদিকে রোববার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৩১ নম্বর আলকরণ ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর পদে নির্বাচন হবে। কাউন্সিলর প্রার্থী তারেক সোলায়মান সেলিমের মৃত্যুর কারণে গত ২৭ জানুয়ারি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের দিন এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি।

গত ১৮ জানুয়ারি সাবেক কাউন্সিলর তারেক সোলায়মান সেলিম চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। এরপর আলকরণ ওয়ার্ডের ভোটগ্রহণ স্থগিত করে সময় নির্ধারণ করা হয় ২৮ ফেব্রুয়ারি। নতুনভাবে মনোনয়ন নেওয়ার সুযোগও দেওয়া হয়েছিল।

বর্তমানে চারজন প্রার্থী কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরা হলেন- আওয়ামী লীগ সমর্থিত মো. আবদুস সালাম, বিএনপি সমর্থিত মো. দিদারুর রহমান, মো. হানিফ ভুঁইয়া ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী হিসেবে পরিচিত ইয়াসির আরাফাত।

বিজ্ঞাপন

নির্বাচনে মোট ভোটার ১৫ হাজার ১৯০ জন। সাতটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হবে। ইতোমধ্যে ইভিএম মেশিনসহ যাবতীয় সরঞ্জাম কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে।

নির্বাচনের দায়িত্বরত সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. কামরুল আলম বলেন, নির্বাচনের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। সাতটি কেন্দ্রকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। প্রতিটি কেন্দ্রে ১২ আনসার সদস্য ও ছয়জন পুলিশ নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকেবন। এছাড়া দুজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং একজন বিচারিক হাকিম দায়িত্ব পালন করবেন।

সারাবাংলা/আরডি/এমআই

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন