বিজ্ঞাপন

উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ সম্মানজনক: ডিসিসিআই

March 1, 2021 | 5:26 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের চূড়ান্ত সুপারিশ অর্জনের ঘটনাকে সুখবর ও সম্মানজনক বলে মনে করছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। সোমবার (১ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ডিসিসিআই এ তথ্য জানায়।

বিজ্ঞাপন

সংগঠনটি বলছে, প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বে গত এক দশকে সামাজিক ও অর্থনীতির সকল ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যুগান্তকারী অগ্রগতি সাধন করেছে। বিশেষ করে করোনার মহামারির সময়কালেও সরকার খুব সফলতার সঙ্গে দেশের মানুষের জীবন-জীবিকা ও অর্থনীতির মধ্যকার সমন্বয় করতে পেরেছে। এ সময়ে সরকার মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসা-বাণিজ্যের কার্যক্রমে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে অত্যন্ত সময়পোযোগী প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে এবং বেশ সফলভাবে তা বাস্তবায়ন করেছে। ইউএন সিডিপি কমিটি কর্তৃক দ্বিতীয় মূল্যায়নে বাংলাদেশে ইতোমধ্যে অর্জিত ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বির্নিমানের প্রত্যয়ের সঙ্গে সঙ্গে বর্তমান সরকার গৃহীত ভিশনসমূহের সাফল্য প্রতিফলিত হয়েছে বলে ঢাকা চেম্বার মনে করে।

সংগঠনটি বলছে, স্বল্পন্নোত ক্যাটাগরি থেকে উত্তরণের ক্ষেত্রে প্রতিটি দেশকেই বেশকিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হয় এবং বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও তা ব্যতিক্রম নয়। এলডিসিভুক্ত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ২০২৬ সাল পর্যন্ত ইউরোপসহ বেশ কিছু দেশে পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা পাবে। তবে এলডিসি হতে উত্তরণের পর বাংলাদেশকে আইপিআর এবং ট্রিপস চুক্তির আওতায় শর্তাবলী ও শিল্পের কমপ্লায়েন্সের মেনে চলার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। মধ্যম আয়ের দেশে হিসেবে রফতানি বাজারে অন্যান্য মধ্যম আয়ের দেশসমূহের সঙ্গে প্রতিযেগিতার মুখোমুখি হতে হবে। পাশাপাশি উন্নত দেশগুলো থেকে প্রাপ্ত অগ্রাধিকার ও বিশেষ সুবিধা কমে আসবে, রফতানির বাজারে সম প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পাবে, বিভিন্ন খাতে ভর্তুকি হ্রাস পাবে এবং ছোট ছোট স্থানীয় শিল্পে সহায়তা কমে আসতে পারে।

ডিসিসিআই বলছে, রফতানিমুখী উৎপাদন খাতের এ সকল চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও এলডিসি থেকে উত্তরণের ফলে আমাদের উৎপাদন খাতেও নতুন সম্ভাবনার তৈরি হবে। এলডিসি হতে সফল উত্তরণের পর বাংলাদেশ স্বল্প সুদে ঋণ সুবিধা পেতে পারে, ক্রেডিট রেটিং’এ উন্নতি সাধিত হবে, বেসরকারি খাত আরও প্রতিযোগী হতে পারবে। এছাড়াও উৎপাদিত পণ্যের গুণগত মান বৃদ্ধি পাবে এবং কমপ্লায়েস ইস্যুতে বাংলাদেশের আরও দক্ষতা বাড়ানোর সুযোগ তৈরি হবে। এ অর্জনের মাধ্যমে বাংলাদেশ অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাণিজ্য সংলাপসমূহে নিজেদের অবস্থান আরও সুদৃঢ় করতে পারবে এবং সর্বোপরি শক্তিশালী আইপিআর অবকাঠামো গড়ে তুলতে পারলে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণে বিনিয়োগকারীদের মাঝে আস্থা ও আগ্রহ বাড়বে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/ইএইচটি/এনএস

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন