বিজ্ঞাপন

‘হাত পেতে নয়, উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা নিয়ে চলব’

March 2, 2021 | 6:45 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: জাতিসংঘের কাছ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তীর্ণ হওয়ার সুপারিশ পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কারও কাছে হাত না পেতে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা নিয়ে চলতে হবে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, আমরা এখন উন্নয়নশীল দেশ। কারও কাছে হাত পাতব না। আমাদের যা করতে হবে, নিজেদেরই করতে হবে। কাজেই আমাদের যে সম্পদ আছে, সেই সম্পদ নিয়েই আমাদের দেশকে গড়ে তুলব।

মঙ্গলবার (২ মার্চ) সকালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি শেরে বাংলা নগরে পরিকল্পনা বিভাগের এনইসি সম্মেলন কেন্দ্র ও সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে যুক্ত ছিলেন।

আরও পড়ুন-

বিজ্ঞাপন

এক পিডি একাধিক প্রকল্পে নয়, এলাকায় থাকার নির্দেশ

১ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার সংশোধিত ‘এডিপি’ অনুমোদন

বিজ্ঞাপন

এনইসি সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, মা-বাবা সব হারিয়ে মনে হয় এই একটা লক্ষ্য নিয়েই কাজ করেছি। সেটা হলো— বাংলাদেশকে আমার বাবা যে স্বাধীন করে দিয়ে গেলেন, এই বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুফলটা যেন সাধারণ মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছাতে পারে। মানুষ যেন একটু ভালোভাবে বাঁচতে পারে, সেটা তিনি সবসময় বলতেন।

‘বঙ্গবন্ধুর কথা ছিল— আমার জীবনের একমাত্র স্বপ্ন বাংলাদেশের মানুষ অন্ন পাবে, খাদ্য খাবে বস্ত্র পাবে, উন্নত জীবন পাবে। অর্থাৎ মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ হবে, মানুষ একটু ভালো থাকবে, শোষিত-বঞ্চিত মানুষগুলো বঞ্চনার হাত থেকে মুক্তি পাবে— এটিই ছিল তার কথা। সে কথা স্মরণ করেই সবকিছু ছেড়ে দিয়ে এই একটি বিষয়েই নজর দিয়েছিলাম— এই বাংলাদেশটাকে কিভাবে আমরা এগিয়ে নিয়ে যাব,’— বলেন শেখ হাসিনা।

তিনি আরও বলেন, আমরা এখন উন্নয়নশীল দেশ। আমাদের চিন্তাভাবনা ওইভাবেই থাকতে হবে যে আমরা এখন একটা মর্যাদা নিয়ে বিশ্বে চলব। অর্থাৎ বিশ্বের কাছে আমরা মাথা উঁচু করে চলব। কাজেই আমাদের যে সম্পদ আছে, সেই সম্পদ নিয়েই আমরা আমাদের দেশকে গড়ে তুলব ইনশাল্লাহ। জাতির পিতার যে স্বপ্ন, সেটা আমরা বাস্তবায়ন করব।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে ভ্যাকসিন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ভ্যাকসিন কিনেছি। আমাদের সামনে আরও কিনতে হবে। কারণ ১৭ কোটির কাছাকাছি আমাদের মানুষ। তার মধ্যে আমাদের প্রত্যেকটা স্কুল-কলেজের শিক্ষক থেকে শুরু করে আমাদের বিভিন্ন খাতের যারা মানুষের সঙ্গে কাজ করেন, তাদের সবাইকে ভ্যাকসিনটা আগে দিতে চাই। একেবারে গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত দিতে চাই। সেজন্য এসব ক্ষেত্রে খুব এই মুহূর্তে খুব বেশি বরাদ্দ বাড়ানোর প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। বরং আমাদের টাকা কিছু রাখতে হবে। আরও ভ্যাকসিন কিনতে হবে।

বিজ্ঞাপন

মন্ত্রণালয়গুলোর বরাদ্দের চাহিদা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের খাদ্য-বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। সেদিকে আমরা আমরা বেশি জোর দিতে চাই। কাজেই মন্ত্রণালয়ের যারাই আপনারা অতিরিক্ত চাইবেন, আমার মনে হয় এখন আর চাওয়ার সময় ওরকম নেই। তবে উন্নয়নের ক্ষেত্রে বা রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রে যেটুকু দরকার, হয়তো তার কিছুটা ব্যবস্থা করা যেতে পারে। সেটা আমরা পরে দেখব। তবে আমি এখন মনে করছি যে অনেক হিসাব-নিকাশ করতে হবে।

এর আগে, আজকের (মঙ্গলবার) এনইসি বৈঠকে চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য এক লাখ ৯৭ হাজার ৬৪৩ কোটি টাকার সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মধ্যে সরকারি তহবিলের বরাদ্দ ১ লাখ ৩৪ হাজার ৬৪৩ কোটি টাকা, বৈদেশিক সহায়তার অংশ ৬৩ হাজার কোটি টাকা।

চলতি এই অর্থবছরের মূল এডিপি’র আকার ছিল ২ লাখ ৫ হাজার ১৪৪ কোটি ৭৯ হাজার টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে বরাদ্দ ছিল এক লাখ ৩৪ হাজার ৬৪৩ কোটি টাকা, বৈদেশিক সহায়তা থেকে বরাদ্দ ছিল ৭০ হাজার ৫০১ কোটি ৭২ হাজার টাকা। সংশোধিত এডিপিতে সরকারি বরাদ্দের অংশে কোনো পরিবর্তন না এলেও বৈদেশিক অংশের ৭ হাজার ৫০১ কোটি ৭৯ হাজার টাকা কমানো হয়েছে।

সারাবাংলা/এনআর/টিআর

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন