আরও ১ হাজার ৭৫৯ রোহিঙ্গা ভাসানচরে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: কক্সবাজার থেকে আরও ১ হাজার ৭৫৯ জন রোহিঙ্গাকে নোয়াখালী জেলার দ্বীপ অঞ্চল ভাসানচরে পাঠানো হয়েছে। মিয়ানমারে সহিংসতার শিকার হয়ে বাস্তুচ্যুত হয়ে আসা ১৩ হাজার ৬১১ জন রোহিঙ্গা এ পর্যন্ত স্বেচ্ছায় কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প ছেড়ে ভাসানচরে গেছে।

বৃহস্পতিবার (০৪ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় রোহিঙ্গাদের নিয়ে নৌবাহিনীর পাঁচটি জাহাজ ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা দেয়। দুপুর ১টার দিকে তারা ভাসানচরে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন নৌবাহিনীর চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রধান রিয়ার এডমিরাল মোজাম্মেল হক।

রিয়ার এডমিরাল মোজাম্মেল হক সারাবাংলাকে বলেন, ‘প্রায় ১৪ হাজার রোহিঙ্গা স্বেচ্ছায় কক্সবাজার থেকে ভাসানচরে গেছে। সেখানে তাদের জন্য আরও উন্নত জীবনযাপনের সকল সুযোগ আমরা তৈরি করেছি। এভাবে পর্যায়ক্রমে আরও রোহিঙ্গা ভাসানচরে যাবেন।’

এর আগে, প্রথম দফায় গত বছরের ৪ ডিসেম্বর ১ হাজার ৬৪২ জন, ২৮ ডিসেম্বর ১ হাজার ৮০৫ জন, ২৯ জানুয়ারি ১ হাজার ৬৬৭ জন, ৩০ জানুয়ারি ১ হাজার ৪৬৭, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২ হাজার ১০ জন, ১৬ ফেব্রুয়ারি ১ হাজার ১১ জন এবং ৩ মার্চ ২ হাজার ২৬০ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়।

মিয়ানমারে জাতিগত নিপীড়নের শিকার হয়ে বাস্তুচ্যুত প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গার অবস্থান আছে কক্সবাজারের উখিয়ার বিভিন্ন ক্যাম্পে। ২০১৭ সালের আগস্টে সবচেয়ে বেশি রোহিঙ্গা কক্সবাজার সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করে, যার ফলে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি উদ্বাস্তূর ঠিকানা হয় বাংলাদেশ।

লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে নিয়ে সামাজিক নানা সমস্যা সৃষ্টির প্রেক্ষাপটে এক লাখ রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর ভাসানচর দ্বীপে নেওয়ার ব্যবস্থা করে সরকার। ১৩ হাজার একর আয়তনের ভাসানচরে প্রায় ২ হাজার ৩১২ কোটি টাকা ব্যয়ে ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করেছে নৌবাহিনী।

সারাবাংলা/আরডি/এমআই