বিজ্ঞাপন

৭ মার্চের ভাষণই ছিল স্বাধীনতা অর্জনের পথনির্দেশনা: আমু

March 6, 2021 | 10:35 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: একাত্তরের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া ঐতিহাসিক ভাষণকে ‘স্বাধীনতা অর্জনের পথনির্দেশনা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু।

বিজ্ঞাপন

ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে শনিবার (৬ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় তিনি এ কথা বলেন।

কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমু বার্তায় বলেন, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণই ছিল স্বাধীনতার ঘোষণা ও স্বাধীনতা অর্জনের পথনির্দেশনা। এই ভাষণ শুধু বঙ্গবন্ধুর জীবনেরই নয়, ইউনেস্কো স্বীকৃত বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ভাষণের মধ্যে অন্যতম।

আমির হোসেন আমু রক্তে আগুন লাগানো বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণ সম্পর্কে বলেন, বঙ্গবন্ধু তার এই ভাষণের মধ্য দিয়ে একদিকে পাকিস্তানের ২৩ বছরের শাসন, শোষণ, নির্যাতন, নিপীড়ন, বঞ্চনার ইতিহাস তুলে ধরে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিলেন; অন্যদিকে শোষণের হাত থেকে বাঙালিকে মুক্তির পথনির্দেশনা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি ও গেরিলা যুদ্ধের রূপরেখা তুলে ধরেন।

বিজ্ঞাপন

বঙ্গবন্ধুর সেই ভাষণের অনুপ্রেরণা প্রসঙ্গে আমির হোসেন আমু বলেন, বঙ্গবন্ধু তার রাজনৈতিক দূরদর্শিতার কারণেই বলেছিলেন— আমি যদি হুকুম দিবার নাও পারি, তোমাদের যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে। তিনি পাড়া, মহল্লা, থানা ও জেলায় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছিলেন।

‘রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরও দেবো, এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বই, ইনশাল্লাহ’— বঙ্গবন্ধুর এমন দৃঢ়চেতা মনোবল ও ঘোষণার কারণেই পাকিস্তানি শোষণ ও শাসনের বিরুদ্ধে নিরস্ত্র বাঙালি সশস্ত্র যুদ্ধে যাওয়ার প্রেরণা পায় বলে উল্লেখ করেন আমির হোসেন আমু। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাষণের প্রতিটি লাইনের প্রতিটি শব্দ আন্দোলিত করে মুক্তিকামী বাঙালিকে, যার মধ্যে বাঙালি খুঁজে পায় স্বাধীনতা যুদ্ধে জয়লাভ করার সকল কলা-কৌশল। এই ভাষণ যুগে যুগে শত আন্দোলন-সংগ্রামে অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।

ঐতিহাসিক ৭ ই মার্চ উপলক্ষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে আমির হোসেন আমু বলেন, ৭ মার্চ আজ শুধু বাংলাদেশের সম্পদ নয়, ইউনেস্কোর বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্যের স্বীকৃতিসহ বিশ্ববাসীর কাছে শ্রেষ্ঠ ভাষণের মর্যাদা পেয়েছে। আর যারা বঙ্গবন্ধু হত্যার পর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসে ৭ মার্চের ভাষণ বাজাতে দেয়নি, তারা আজ ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এনআর/টিআর

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন