বিজ্ঞাপন

শত্রুতার জেরে গলা কেটে খুনের মামলায় ৯ জনের ফাঁসি

March 8, 2021 | 5:08 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় দেড়যুগ আগে পূর্ব শত্রুতার জেরে একজনকে জবাই করে হত্যার মামলার নয় আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই মামলায় আদালত প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা দেওয়ারও আদেশ দিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (০৮ মার্চ) চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ফারজানা আক্তার এ রায় দিয়েছেন।

দণ্ডিত আসামিরা হলেন শাহীন, বাবুল, ল্যাডা নাছির, নুরুল ইসলাম, মো. জোবায়ের, দিদার, আবু বক্কর বাঁশি, ইসমাইল ও মো. জঙ্গু। এদের মধ্যে শাহীন ছাড়া বাকি সবাই পলাতক আছেন।

মামলার নথি ও এজাহারের ভিত্তিতে আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. জহিরুল ইসলাম সারাবাংলাকে জানান, ২০০৩ সালের ১ নভেম্বর ফটিকছড়ি উপজেলার দক্ষিণ রাঙামাটিয়া গ্রামের নেছার আহমেদ প্রকাশ তোতাকে নৃশংসভাবে গলা কেটে খুন করা হয়। এ ঘটনায় পরদিন তার স্ত্রী মোর্শেদা আক্তার বাদি হয়ে ফটিকছড়ি থানায় আটজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

বিজ্ঞাপন

মামলার অভিযোগে বলা হয়, নেছার আহমেদ দুবাই প্রবাসী ছিলেন। ভিসা সংক্রান্ত জটিলতায় জেল খেটে ২০০৩ সালে তিনি দেশে ফেরত আসেন এবং আর যেতে পারেননি। একই গ্রামের জনৈক এজাহার মিয়ার কাছে তিনি পাঁচ হাজার টাকা পেতেন। বারবার ধর্ণা দিয়েও সেই টাকা উদ্ধার করতে পারেননি নেছার। তার সঙ্গে এলাকার সন্ত্রাসী ল্যাডা নাছির ও তার সহযোগীদের পূর্ব শত্রুতা ছিল। ল্যাডা নাছির কৌশলে সেই টাকা উদ্ধারের কথা বলে প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ তৈরি করে। নেছার তার কথায় বিশ্বাস স্থাপন করেন।

২০০৩ সালের ১ নভেম্বর বিকেল ৫টার দিকে এজাহারের কাছ থেকে টাকা উদ্ধারের কথা বলে নেছারকে তার বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় আসামিরা। পরদিন সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নেছারের স্ত্রী মোর্শেদা স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে দক্ষিণ রাঙামাটিয়া গ্রামে একটি পাহাড়ের পাদদেশে সড়কে তার স্বামীর রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলা তদন্ত করে পুলিশ মোট ১০ জনকে আসামি করে ২০০৪ সালের ১৪ মে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। অভিযোগ গঠনের পর রাষ্ট্রপক্ষ আদালতে ১০ জনের সাক্ষ্য নেন। বিচার চলাকালে ‘কপাল কাটা নাছির’ নামে একজন মারা যান। পরবর্তীতে তাকে বিচার কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

দশজনের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় আদালত নয় আসামির প্রত্যেককে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর এবং ২০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বেঞ্চ সহকারী জহিরুল ইসলাম।

তিনি জানিয়েছেন, ঘটনার পর আসামিদের পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। পরে জামিনে গিয়ে আটজন পালিয়ে যান।

সারাবাংলা/আরডি/একে

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন