‘ধ্রুপদী রাজনীতিবিদ হিসেবে মানুষ তাকে বিবেচনা করবে’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: সদ্য প্রয়াত ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদকে বাংলাদেশের মানুষ ধ্রুপদী রাজনীতিবিদ হিসেবে বিবেচনা করবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক শোকবার্তায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বরেন, ‘এক বর্ণাঢ্য ব্যক্তিতের অধিকারী ছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের মতো একজন কীর্তিমান আইনজীবী ও প্রথিতযশা রাজনীতিবিদের মৃত্যু আমাদের মাঝে গভীর শূন্যতার সৃষ্টি করেছে। আরও অনেকদিন দরকার ছিল এই দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধার।’

আরও পড়ুন- মওদুদ আহমদ আর নেই

‘দেশের জন্য তার অবদান মানুষ কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করবে। একাত্তরের মাতৃভূমি স্বাধীনতার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। এই দুঃশাসনের ছোবলে অনেককিছু হারিয়েও দলের প্রতি তার অঙ্গীকার থেকে বিচ্যুত হননি,’— বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘কর্মীবান্ধব সদা হাস্যোজ্জল বিনম্র এই সজ্জন ব্যক্তি রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধেও পরিমিত ভাষা ব্যবহার করতেন। তিনি আইনি পেশা ও রাজনীতি দুই ক্ষেত্রেই ছিলেন ঈর্ষণীয় উচ্চতায়। কর্তৃত্ববাদী শাসকের চোখ রাঙানি তাকে স্বেচ্ছা সমর্পণমূলক আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করতে পারেনি। বরং নীতির প্রশ্নে আমৃত্যু বিএনপির পক্ষে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। অগণতান্ত্রিক শক্তির নানা জুলুমের মুখেও তিনি প্রায় প্রতিদিনই সত্য উচ্চারণ করেছেন।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশের একজন ধ্রুপদী রাজনীতিবিদ হিসেবেই মানুষ তাকে বিবেচনা করবে। জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার সহকর্মী হিসেবে দেশ ও জাতির অগ্রগতির পক্ষে তার ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য। তার মৃত্যুর এই শোক কাটিয়ে ওঠা আমাদের জন্য অত্যান্ত কঠিন।’

শোকবার্তায় ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পাশাপাশি মরহুমের শোকার্ত পরিবার, আত্মীয়স্বজন, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন তিনি।

আরেক এক শোকবার্তায় বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু ও মো. শাহজাহান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূইয়া ও জয়নুল আবদিন ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামিম গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের মৃত্যুতে।

সারাবাংলা/এজেড/টিআর