বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রামে হোটেলে আমিরাতের পর্যটকের মৃত্যু

March 17, 2021 | 8:25 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো : বাংলাদেশ ভ্রমণে আসা আরব আমিরাতের এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে চট্টগ্রামের একটি আবাসিক হোটেলে। অসুস্থতাজনিত কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা পুলিশের।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (১৭ মার্চ) সকালে নগরীর কোতোয়ালী থানার স্টেশন রোডে ‘এশিয়ান এস আর’ হোটেল থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি-দক্ষিণ) পলাশ কান্তি নাথ।

পুলিশ জানিয়েছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের নাগরিক সাইয়েফ আম্মার মোহাম্মদ আল নাইয়াদী (৩৯) আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন এবং হুইল চেয়ার ছাড়া চলাফেরা করতে পারতেন না। সৌদিপ্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিক মো. সালা উদ্দীনের সঙ্গে গত ১৫ মার্চ আল নাইয়াদী চট্টগ্রামে বেড়াতে আসেন। সালা উদ্দীন চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পশ্চিম খুরুলিয়া গ্রামের মাহবুব আলমের ছেলে। নাইয়াদী ও সালাউদ্দীন এশিয়ান এস আর হোটেলের ৭০৪ নম্বর কক্ষে উঠেছিলেন।

এডিসি পলাশ কান্তি নাথ সারাবাংলাকে বলেন, ‘হোটেলে সালা উদ্দীনই নাইয়াদীকে দেখভাল করছিলেন। গত সোমবার তারা হোটেলে উঠেন। আজ (বুধবার) সকালে তাকে ঘুম থেকে ডাকতে গিয়ে সালা উদ্দীন দেখেন, শরীর ঠাণ্ডা। তখন হোটেল থেকে থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’

বিজ্ঞাপন

‘সালা উদ্দীন আমাদের জানিয়েছেন, শারীরিক অসুস্থতার জন্য নাইয়াদী গত দেড় বছর ধরে হাঁটাচলা করতে পারেন না। তার সঙ্গে সার্বক্ষণিক সহায়তাকারী লাগে। এজন্য বাংলাদেশে আসার পর সালা উদ্দীন তার মামাত বোনের স্বামী ও এক বন্ধুকে সাথে রেখেছিলেন। হোটেলের ৭০৮ নম্বর রুমে থাকতেন তারা। মঙ্গলবার ফয়’সলেকসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে তারা নাইয়াদীকে নিয়ে যান। সকালে সালা উদ্দীনের বাড়িতে যাবার কথা ছিল।

সকাল সাতটায় ঘুম থেকে উঠতে নাইয়াদী ঘড়ির অ্যালার্ম দিয়েছিলেন।‘- বলেন এডিসি পলাশ কান্তি নাথ

নগর পুলিশের কোতোয়ালী জোনের সহকারি কমিশনার নোবেল চাকমা সারাবাংলাকে বলেন, ‘বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করেছেন নাইয়াদী। পাসপোর্টে দেখেছি- অনেকবার ভারতে গেছেন। উজবেকিস্তান, আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে গেছেন। নাইয়াদীর সার্বক্ষণিক সঙ্গী ছিলেন সালা উদ্দীন। তার বাবাও নাইয়াদীর সঙ্গে কাজ করেছেন। অসুস্থ হওয়ার আগে তিনি আমিরাতের পুলিশ বিভাগে ছিলেন বলে জানতে পেরেছি।’

বিজ্ঞাপন

‘আমরা আরব আমিরাতের দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ চমেক হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে আরব আমিরাতের দূতাবাসের মাধ্যমে লাশ নিজ সেদেশে পাঠানো হবে।’- বলেন নোবেল চাকমা।

সারাবাংলা/আরডি/একে

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন