বিজ্ঞাপন

পানি সংকটে আগুন নিয়ন্ত্রণে দেরি হয়

March 22, 2021 | 5:10 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: রাজধানীর মতিঝিলে পাটকল করপোরেশন ভবনের সাততলায় লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে পানির সংকটে বেগ পেতে হয়েছিল ফায়ার অ্যান্ড সিভিল সার্ভিসের কর্মীদের। এ কারণে নিজেদের রিজার্ভ পানি শেষ হয়ে গেলে সেখানে পাশে থাকা জনতা ব্যাংকের জনতা ফোয়ারা থেকে পানি নিয়েছিলেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (২২ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে আগুন লাগে মতিঝিলে বাংলাদেশে পাটকল করপোরেশন ভবনের সাত তলায়। আগুন খবর পেয়ে প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট ও পরে আরও দুইটি ইউনিট বাড়ানো হয়। এতেও আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হচ্ছিল ফায়ার কর্মীদের। পরে আরও ছয়টি ইউনিট যোগ দেয় আগুন নিয়ন্ত্রণে। মোট ১৩ ইউনিটের চেষ্টায় প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। তবে পানি সংকট না থাকলে আরও দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হতো বলে মনে করছে ফায়ার সার্ভিস।

আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন ভবনের সপ্তম তলায় একটি কাগজপত্রের একটি গোডাউন ছিল। সেখান থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। কয়েক দফায় মোট ১৩টি ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট পাঠানো হয়। সর্বশেষ দুপুর বিকেল সাড়ে ৩টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

তিনি বলেন, সাত তলায় কাগজপত্রের গুদাম থাকার কারণে আগুনে নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হয়েছে। আশপাশে বিকল্প পানির ব্যবস্থা না থাকার কারণে কিছুটা পানি সংকটে পড়তে হয় আমাদের। এ কারণে ভবনের পাশেই জনতা ব্যাংকের জনতা ফোয়ারা থেকে মোটর দিয়ে পানি নেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, যেহেতু আগুনের ঘটনা ঘটেছে একটি গোডাউনে যেখানে কাগজপত্রসহ অন্যান্য জিনিসপত্র রয়েছে, তাই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও পুরোপুরি অগ্নিনির্বাপণের ক্ষেত্রে আরও বেশকিছু সময় লাগবে। তারপরে আমরা বলতে পারব আগুনের সূত্রপাতের কারণ কী ছিল।

তিনি বলেন, আমরা আগুন লাগার খবরের পর থেকেই আগুন নেভানোর কাজেই ব্যস্ত রয়েছি। আগুন লাগার কারণ ঠিক কী ছিল, তা জানা সম্ভব হয়নি। আমাদের ১৩টি ইউনিট কাজ করছে, জনবল আছে শতাধিক। আগুন পুরোপুরি নির্বাপণের পর আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখা হবে, তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।

তিনি বলেন, ভবনটি যেহেতু পাটকল করপোরেশনের, তারাই বলতে পারবে গোডাউনটি কার বা কারা ব্যবহার করছিল। সেখানে কাগজপত্র ছাড়াও আর কী কী ছিল, সেটিও দেখা হবে। ভবনটি পুরাতন। ভবনে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ছিল জেনেছি, তবে তা কী অবস্থায় ছিল সেটি জানি না। এ বিষয়গুলোও খতিয়ে দেখা হবে।

বিজ্ঞাপন

ভেতরে কেউ আটকা পড়েছে কি না বা হতাহতের কোনো তথ্য রয়েছে কি না— জানতে চাইলে সাজ্জাদ হোসাইন বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত হতাহত বা আটকা পড়ে থাকার কোনো তথ্য আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি। তবে আগুন নেভানোর পর খুঁজে দেখা হবে কোনো হতাহতের ঘটনা রয়েছে কি না।

আগুন নিয়ন্ত্রণ হলেও প্রচুর ধোঁয়ার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, কাগজপত্র থাকায় আগুন দ্রুত লেগেছে, পানি দেওয়ায় আগুন নিভেছে তবে ধোঁয়া হচ্ছে।

সারাবাংলা/এসএইচ/এনএস

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন