বিজ্ঞাপন

নতুন ১০ আইসিইউ বেড পেল ঢামেক কোভিড ইউনিট

April 1, 2021 | 3:28 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে কোভিড-১৯ ইউনিটের (বার্ন ইউনিট) নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নতুন ১০টি বেড সংযোজিত হয়েছে। ঢামেক করোনা ইউনিটে আগুন লেগে আইসিইউ অংশের ১৪টি বেড ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর এই নতুন ১০টি বেড যুক্ত হলো।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এই নতুন আইসিইউ বেডগুলোর উদ্বোধন করেন। এসময় ঢামেক হাসপাতালের সভাকক্ষ থেকে অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক।

অনুষ্ঠানে আরও যুক্ত ছিলেন ঢামেক করোনা ইউনিটের আইসিইউ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মোজাফফর হোসেন, ঢামেক হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. আলাউদ্দিন-আল-আজাদ, সহকারী পরিচালক ডা. আশরাফুল আলমসহ অন্যরা।

ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, দুর্ঘটনা যেকোনো সময় হতে পারে। তবে হাসপাতালগুলোতে আমরা এ ধরনের দুর্ঘটনা কখনই কামনা করি না। আর যেন এমন দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়, সেজন্য আমাদের আরও যত্নবান হতে হবে। তবে ওই দুর্ঘটনার পরও আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে ১০টি আইসিইউ বেড চালু করতে পারলাম।

বিজ্ঞাপন

মন্ত্রী বলেন, লাফিয়ে লাফিয়ে করোনার রোগী বাড়ছে। প্রতিদিন ৫ হাজার করে নতুন আক্রান্ত হচ্ছেন, মৃত্যুও বাড়ছে। এরকম করে যদি রোগী বাড়তে থাকে আর সবাই হাসপাতালে ভর্তি হতে চায়, তাহলে হাসপাতালে জায়গা দেওয়া সম্ভব হবে না। এখনই প্রায় সব হাসপাতাল ভরে গেছে। আমরা প্রতিটি হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে আরও এক থেকে দুইশ বেড বাড়ানোর ব্যবস্থা করেছি। নন-কোভিড রোগীদের চিকিৎসা কমিয়ে করোনা রোগীদের জন্য বেশি বেডের ব্যবস্থা করছি।

জাহিদ মালেক বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে একটি মার্কেটকে আমরা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল ও আইসোলেশন সেন্টার হিসেবে তৈরি করছি। সেখানে ৫০ বেডের আইসিইউ ও দুইশ বেডের এইচডিইউ থাকবে। ১০-১৫ দিনের মধ্যে সেটি চালু করতে পারব। প্রাইভেট হাসপাতালগুলোকেও উদ্বুদ্ধ করছি, তারাও করোনা রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছে। কিন্তু তাদেরও সব বেড ভরে যাচ্ছে। তাদেরও আরও এক হাজার করে নতুন বেড করার অনুরোধ করছি। প্রতিদিন ৫শ থেকে এক হাজার করে রোগী বাড়লে এক সপ্তাহের কম সময়ে সব হাসপাতালের বেড ভরে যাবে। কাজেই একটি দুর্যোগময় পরিস্থিতি তৈরি হতে যাচ্ছে হয়তো। আমরা হাসপাতালে বেড বাড়িয়ে রোগীদের স্থান সংকুলান করতে পারব না, যদি করোনা রোগীর উৎপত্তি বন্ধ না করি।

স্বাস্থবিধি অনুসরণের আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রথম বছর আমরা করোনা নিয়ে কাজ করে একে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছিলাম। তবে এখন দ্রুত করোনা ছড়াচ্ছে। গত ৪ মাসে যত না রোগী শনাক্ত হয়েছিল, গত ২ সপ্তাহে তার চেয়ে বেড়ে গেছে। আমার মনে হয়, আমাদের অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস হয়ে গিয়েছিল যে দেশ থেকে করোনা চলে গেছে। আমাদের খামখেয়ালিপনার জন্যই এখন এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। পরিবার ও দেশকে রক্ষার জন্য এখন আমাদের সবাইকে আরও সচেতন হতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে, সবসময় মাস্ক পরতে হবে।

বিজ্ঞাপন

এসময় মন্ত্রী ঢামেক পরিচালকের কাছে করোনা রোগীদের চিকিৎসা সম্পর্কে জানতে চান। এক পর্যায়ে মন্ত্রী বলেন, হাই-ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা পর্যাপ্ত পরিমাণে আছে। আমরা এই ন্যাজাল ক্যানুলা অনেক হাসপাতালে দিয়েছি। সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে দ্রুত এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদ জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

ভার্চুয়াল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢামেক হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক ধন্যবাদ জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে। তিনি বলেন, আমরা যখনই যা চাচ্ছি মন্ত্রী তাৎক্ষণিকভাবে সেগুলো আমাদের দিচ্ছেন। দুই সপ্তাহ আগে করোনা ইউনিটে আগুন লেগে সেখানকার আইসিইউর ১৪টি বেড ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এর পর থেকেই আমাদের চেষ্টা ছিল দ্রুত নতুন ১০টি বেড চালু করা। আমরা খুব দ্রুত সময়েই এটি চালু করতে পারলাম।

তিনি বলেন, আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত আইসিইউ ইউনিটটি ঈদের আগেই চালু করতে পারব। সেই লক্ষ্যে আমাদের কাজ চলছে। আর হাসপাতালে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থাও মনিটরিং করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসএসআর/টিআর

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন