বিজ্ঞাপন

‘ভবন থেকে পড়ে মারা যায়নি মামুন, মারধরের কারণে মৃত্যু’

April 5, 2021 | 10:06 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বিমানবন্দরে নিহত মামুন (১৭) ভবন থেকে পরে মারা যায়নি। মারধরের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিমানবন্দর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. কবির হোসেন।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (৫ মার্চ) রাত সাড়ে আটটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।

এসআই কবির বলেন, ‘মামুন বিমানবন্দরের ভেতরে নির্মাণাধীন একটি বিমান গ্যারেজে কাজ করতো। সে ভবন থেকে পড়ে ঢামেক হাসপাতালে মারা গেছে- এমন খবর পাই হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ি থেকে। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে কিছু না পেয়ে হাসপাতালে এসে ফাহিম ও ঠিকাদার ইকবাল শেখকে পাই। পুলিশ ফাঁড়িতে জেরার মুখে ফাহিম স্বীকার করে যে, মামুন ভবন থেকে পড়ে মারা যায়নি। তাকে মারধর করা হয়েছে।’

তিনি জানান, ফাহিম ও ইকবালকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যাওয়া হবে। তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।

বিজ্ঞাপন

মামুনের সহকর্মী ফাহিমকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা কয়েকজন বিমানবন্দরে কাজ করছিল। দুপুরে মামুন মাচান বেঁধে দেয়ালে প্লাস্টারের কাজ করছিল। নিচে দাঁড়িয়েছিল আরেক শ্রমিক লেলিন। এমন সময় উপর থেকে কিছু সিমেন্ট লেলিনের মাথায় পড়ে। তখন এই বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে হাতাহতি হয়। এক পর্যায়ে মামুন লেলিনের মাথায় রড দিয়ে আঘাত করে। এতে মাথা ফেটে যায় লেলিনের। পরে লেলিনের ভাই সেলিম তার চিকিৎসার জন্য কুর্মিটোলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে লেলিন ফিরে আসে।

ফাহিম আরও জানায়, দুপুরে কাজ শেষ করে মামুন বিমানবন্দরের ভেতরেই মেসে ভাত খেতে যায়। লেলিন মেসে গিয়ে দেখে মামুন একাকি শুয়ে আছে। তখন লেলিন মামুনের বুকে, পিঠে ও মাথায় আঘাত করে। এতে অচেতন হয়ে যায় মামুন। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার মৃত্যু হয়।

এর আগে ঠিকাদার ইকবাল শেখ হাসপাতালে সাংবাদিক ও পুলিশকে জানায়, তারা বিমানবন্দরের ভেতরে একটি নির্মাণাধীন ভবনে কারছিল। মামুন সেখানে রাজমিস্ত্রীর কাজ করতো। ঘটনার সময় মামুন তিন তলায় বাইরের দিকে মাচান বেঁধে কাজ করছিল। বিকাল চারটার দিকে মাচান থেকে পরে মামুন গুরুতর আহত হয়। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মারা যায়।

বিজ্ঞাপন

ইকবাল আরও জানায়, মামুনের বাড়ি দিনাজপুর জেলার চিবিড়বন্দর উপজেলার মোহনপুর গ্রামে। বাবার নাম মাজেদুল ইসলাম।

সারাবাংলা/এসএসআর/পিটিএম

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন