বিজ্ঞাপন

মামুনুলের দাবি স্ত্রীর কাছে সীমিত পরিসরে সত্য গোপন করা যায়

April 8, 2021 | 7:25 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: স্ত্রীকে খুশি বা সন্তুষ্ট করতে সীমিত পরিসরে সত্য গোপনের অবকাশ রয়েছে বলে দাবি করেছেন হেফাজতের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক। বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) নিজের ফেসবুক পেজে লাইভে এসে তিনি এ দাবি করেছেন।

বিজ্ঞাপন

মামুনুল হক বলেন, ‘একাধিক বিয়ে করার ক্ষেত্রে আমি আমার স্ত্রীকে কীভাবে ম্যানেজ করব, কোন কথা দিয়ে তাকে প্রবোধ দেবো, তার সঙ্গে কোন পরিস্থিতিতে কোন কথা বলে সান্ত্বনা দেবো, তা আমার ব্যক্তিগত বিষয়। ইসলামে এ ব্যাপারে এখতিয়ার প্রদান করা হয়েছে- স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করার জন্য, স্ত্রীকে খুশি করবার জন্য প্রয়োজনে সীমিত পরিসরে সত্যকে গোপন করারও অবকাশ রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমি একাধিক বিয়ে করেছি। ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী ও বাংলাদেশের আইনে একাধিক বিয়ের ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। একজন পুরুষ চারটি বিয়ে করতে পারেন। চারটি বিয়ে করলে কার কী?’ তিনি আরও বলেন, সেই বিষয়ে (দ্বিতীয় বিয়ে) যদি কোন অভিযোগ থেকেও থাকে তা একান্ত স্ত্রীর (প্রথম)। আমরা স্ত্রী কি কোনোদিন কখনও কোথাও বাংলাদেশের কোনো রাষ্ট্রীয় প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষের কাছে অথবা কোনো আদালতের কাছে আমার ব্যাপারে কি কোনো অভিযোগ দায়ের করেছে?’

আরও পড়্ন: কেউ কি প্রমাণ করতে পেরেছেন ঝর্ণা আমার স্ত্রী নন?: মামুনুল

বিজ্ঞাপন

মামুনুল হক বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আমার চরিত্র হননের জন্য, শুধু ব্যক্তিগত গোপন ফোনালাপ ফাঁস করেই তারা ক্ষান্ত হয়নি। এত এত ফোনালাপ যে ফাঁস হচ্ছে, কোনো একটি ফোনালাপ থেকে কি প্রমাণ করতে পেরেছেন যে, জান্নাত আরা ঝর্ণা অন্য কারও বিবাহিত স্ত্রী? অথবা এই কথা কি আপনারা প্রমাণ করতে পেরেছেন, তিনি আমার বিবাহিত স্ত্রী নন? বরং যতগুলো তথ্য প্রমাণ আপনারা ঘাঁটাঘাঁটি করেছেন, সবগুলোর মাধ্যমে এই কথাই দিবালোকের মতো স্পষ্ট হয়েছে যে, জান্নাত আরা ঝর্ণা আমার বিবাহিত স্ত্রী। সুতরাং, আমার দ্যর্থহীন বক্তব্য— আপনারা যারা আমার ব্যক্তিগত গোপন তথ্যগুলোকে, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য আচরণগুলোকে যারা প্রচার করেছেন, তাদেরকে বলছি, আমি কীভাবে আমার স্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলব, সেটা আমার ধর্মীয় এবং নাগরিক অধিকার। সে বিষয়ে অন্য কাউকে নাক গলানোর সুযোগ ধর্ম, সমাজ ও আইন-আদালত দেয়নি।’

তিনি বলেন, ‘প্রশ্ন করতে পারেন, আপনার বিরুদ্ধে কেন এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হলো? রাষ্ট্রযন্ত্র, আদালত ও প্রশাসনে এই যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে, এর মূল লক্ষ্য ইসলামের পক্ষে আমার কণ্ঠ রুদ্ধ করে দেওয়া। এর পরে হেফাজতে ইসলামের দায়িত্বশীলদের গোপন রেকর্ড ফাঁসের যে ধারাবাহিকতা শুরু হয়েছে, এর মাধ্যমে অশুভ উদ্দেশ্য স্পষ্ট। তারা চাচ্ছে হেফাজতে ইসলামের নেতৃত্বকে কলুষিত করতে। অন্তর্দ্বন্দ্ব ও কলহ তৈরি করতে। আস্থা ও দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে পারি, হেফাজতে ইসলামের সংহতি দৃঢ়ভাবে অটুট থাকবে। পারস্পরিক এ ভেদাভেদ আমরা ভুলে যাব। কেউ কোনো দোষ করে থাকলে সাংগাঠনিকভাবে তার সংশোধনের যথাথ ব্যবস্থা করা হবে। হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ নেতৃত্ব রয়েছে, তারা যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। যারা হেফাজতে ইসলামকে দুর্বল করার পাঁয়তারা করছেন এই ষড়যন্ত্র সফল হবেন না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার সেই নৈতিক শক্তি রয়েছে, যার কারণে আমি উপস্থিত। চড়াও হতে আসা আমার প্রাণ কেড়ে নেওয়ার মতো। হত্যা করবার মতো ঔদ্ধত্য নিয়ে যে সন্ত্রাসীবাহিনী সেদিন রয়্যাল রিসোর্টে হামলা চালিয়েছিল, সেখানেও পিছপা হইনি। তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলাম। ব্যক্তিগতভাবে একা হওয়ায় অনেক সন্ত্রাসীকে মোকাবিলা করতে পারিনি। আমি স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, হুমকি-ধামকির মাধ্যমে আমার নৈতিক অবস্থানকে দুর্বল করা যাবে না।’

বিজ্ঞাপন

মামুনুল আরও বলেন, ‘আমার ব্যক্তিগত অসাবধানতার কারণে যে ক্রুটি-বিচ্যুতি হয়েছে এবং যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ না করার কারণে যে ক্ষতির সম্মুখীন ব্যক্তিগতভাবে হয়েছি; সেজন্য নিজেই মর্মাহত। আমার কারণে আজকে অনেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাদের কাছে আমি হাত জোড় করে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’

সারাবাংলা/ইএইচটি/পিটিএম

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন