বিজ্ঞাপন

অস্ট্রেলিয়ায় তীরে দেড়শ তিমির মৃত্যু

March 24, 2018 | 3:31 pm

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

বিজ্ঞাপন

অস্ট্রেলিয়ার হ্যামেলিন উপসাগরের তীরে অন্তত দেড়শ তিমির মৃত্যু হয়েছে। প্রাণী বিশেষজ্ঞদের ধারণা, তিমিগুলো অসুস্থ হয়ে পড়ায় তীরে আছড়ে পড়েছিল। এরপর তারা আর সমুদ্রের গভীরে ফিরতে পারেনি।

বিবিসি জনায়, শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এক শ ৪০ টিরও বেশি তিমি মারা গেছে। খারাপ আবহাওয়া বা হাঙ্গরের আক্রমণে তাদের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

হ্যামেলিন উপসাগরটি পার্থ শহর থেকে তিন শ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত।

বিজ্ঞাপন

স্থানীয় একজন জেলে সর্বপ্রথম তিমিগুলো তীরে পড়ে থাকতে দেখেন। শুক্রবার সেগুলোকে গভীর সমুদ্রে ফিরিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণের অনুরোধ জানান তিনি।

তীরে আছড়ে পড়া অসুস্থ তিমিগুলোর চিকিৎসা দিতে এক শ’রও বেশি স্বেচ্ছাসেবক, বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞসহ অনেকে সমুদ্রী তীরে যান। তারা তীরে আটকা পড়া ছয়টি তিমিকে বাঁচাতে পেরেছে।

বিজ্ঞাপন

একজন পর্যটক বার্তাসংস্থা এপিকে বলেছেন, বহু তিমি সমুদ্রতীরে পড়ে আছে। এর আগে এমন দৃশ্য আমি কখনো দেখিনি।

অস্ট্রেলিয়ার পার্ক অ্যান্ড ওয়াইল্ডলাইফ সার্ভিসের মুখপাত্র জেরেমি চিক এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে তিমিগুলো বৃহস্পতিবার রাতভর তীরে আছড়ে পড়ে এবং মারা যায়।

তিনি বলেন, তীরে আসার পর তিমিগুলো আটকে যাচ্ছে । গভীর সমুদ্রে ফিরে যেতে পারছে না। এমন পরিস্থিতি মাঝে মাঝে সৃষ্টি হতে দেখা যায়।

বিজ্ঞাপন

কর্মকর্তারা বলেন, ওই এলাকার সমুদ্রের পাড় পাথুরে। হতে পারে সেখানে চলাচলে তিমিগুলোর সমস্যা হচ্ছে। তারা সেখানে টিকে থাকতে পরছে না।

প্রকৃতির রহস্য

তিমিগুলো কেন তীরে আসে তার প্রকৃত কারণ বিজ্ঞানীরা এখনো খুঁজে পাননি।

বিষেজ্ঞরা বলছেন, তিমিরা তখই তীরে আটকে যায়, যখন তারা অসুস্থ থাকে বা কোনভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। এমন পরিস্থিতিতে মৃদু ঢালু পাড় বিশিষ্ট তীরে গেলে তারা আটকে যায়।

একজন উদ্ধার কর্মী সিডিনী মর্নিং হেরাল্ডকে বলেন, ‘এটা প্রকৃতির এক রহস্য’। তিমিরা একবার তীরে আসলে দ্রুত অসুস্থ হয়ে পড়ে। আটকা পড়ারা বিপদের সংকেত দেয়, সংকেতে পেয়ে আরও তিমি সেদিকে আসে এবং তীরে আটকে পড়ে।

১৯৯৬ সালে অস্ট্রেলিয়ায় সর্বোচ্চ প্রায় ৩২০টি তিমি তীরে আটকা পড়েছিল।

সারাবাংলা/আইএ/একে

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন