বিজ্ঞাপন

ভার্চুয়ালি সীমিত পরিসরে চলবে আদালত

April 13, 2021 | 8:45 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: দেশে করোনা ভাইরাসের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগ এবং দেশের অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালে ভার্চুয়ালি সীমিত পরিসরে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের আদেশক্রমে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের পৃথক তিনিটি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে গত ৪ এপ্রিল করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে ৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত ভার্চুয়াল উপস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ, চেম্বার আদালত ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

এরপর ১১ এপ্রিলের বিজ্ঞপ্তিতে আদালতের কার্যক্রম ১২ এপ্রিল থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সীমিত পরিসরে চলবে বলে জানায় সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।

বিজ্ঞাপন

একই দিন অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে শুধু জামিন ও অতি জরুরি ফৌজদারি দরখাস্ত নিষ্পত্তির জন্য অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালে ১২ এপ্রিল থেকে কার্যক্রম পরিচালিত হবে বলে জানানো হয়। এরপর ১৩ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন থেকে পৃথক তিনটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মো. বদরুল আলম ভূঞার সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের ১ নম্বর কোর্টে প্রতি রোববার, মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিচারিক কার্যক্রম চলবে। শুধু ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে প্রতি সোম ও বুধবার বেলা ১১টা থেকে চেম্বার আদালত অতি জরুরি বিষয়ে শুনানি করবেন।

হাইকোর্টেও সীমিত পরিসরে কার্যক্রম

বিজ্ঞাপন

হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মো. গোলাম রব্বানীর সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ রেখে জনগণের সাংবিধানিক অধিকার রক্ষার্থে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে সীমিত পরিসরে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনা করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

অধস্তন আদালতেও ভার্চুয়াল উপস্থিতি এবং সীমিত পরিসরে কার্যক্রম

হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মো. গোলাম রব্বানীর সই করা অপর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশের অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ রেখে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে সীমিত পরিসরে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, শুধু জামিন ও অতি জরুরি ফৌজদারি দরখাস্ত তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে নিষ্পত্তি করার জন্য দেশের প্রত্যেক জেলার জজ ও দায়রা জজ, মহানগর দায়রা জজ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক, শিশু আদালতের বিচারক এবং চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ও ক্ষেত্রমতো তার নিয়ন্ত্রণাধীন ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দেওয়া হলো।

বিজ্ঞাপন

আদালত চলাকালে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীরা উপস্থিত থাকবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

সারাবাংলা/কেআইএফ/পিটিএম

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন