বিজ্ঞাপন

ডায়রিয়া রোগীর ঠাঁই হয়েছে গাছ তলায়

April 14, 2021 | 10:51 am

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

বরিশাল: সম্প্রতি বরিশালে ডায়রিরা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে। আর আক্রান্তরা ডায়রিয়া চিকিৎসার জন্য নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান বরিশাল জেনারেল হাসপাতালে ভিড় করছেন। রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় ওয়ার্ডের বেড, মেঝে, বারান্দা ছাড়িয়ে রোগীরা ঠাঁই নিয়েছেন মূলভবনের বাইরে খোলা স্থানে, এমনকি গাছ তলায়ও।

বিজ্ঞাপন

এসব রোগীরা ডায়রিয়ার অতিপ্রয়োজনীয় স্যালাইন এবং ওষুধসহ অন্যান্য সেবা পাচ্ছেন না। বাইরে থেকে ওষুধ কিনতে হচ্ছে তাদের। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতারও যথেষ্ট অভাব রয়েছে। যদিও সাধ্যমতো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা এবং রোগীদের স্যালাইন ওষুধ দেওয়ার কথা বলেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

তবে পর্যাপ্ত জায়গা এবং লোকবল স্বল্পতার কারণে রোগীদের প্রত্যাশা পূরণ করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের আরএমও ডা. মলয় কৃষ্ণ বড়াল।

মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. রেজওয়ানুল আলম রায়হান বলেন, পানির মাধ্যমে রোটা ভাইরাস শিশুদের সংক্রমিত করে। আর বড়দের সংক্রমিত করে পানিবাহিত সালমোনেলা ব্যাকটেরিয়া। গরম পেলে ব্যাকটেরিয়া বেশি ছড়িয়ে পড়ে পানির মাধ্যমে।

বিজ্ঞাপন

নোংরা থাকা, ঠিকভাবে সাবান দিয়ে হাত না ধোয়া এবং পানি ফুঁটিয়ে পান না করার কারণে গরমের এই সময়ে ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। তিনি বলেন, আমরা খাওয়ার পরে সাবান দিয়ে হাত ধুই। কিন্তু নিয়ম হলো খাওয়ার আগে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া।

এই গরমে সরকারিভাবে মানুষের মাঝে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ, সাবান দিয়ে হাত ধোয়া এবং পানি ফুঁটিয়ে পান করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. রায়হান।

মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে বরিশাল জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, ডায়রিয়া ওয়ার্ড ছাড়িয়ে রোগীর স্থান হয়েছে হাসপাতালের বারান্দায়, মূল ভবনের বাইরে খোলা স্থানে, এমনকি হাসপাতাল চত্বরের গাছ তলায়।

বিজ্ঞাপন

গাছ তলায় এবং মূল ভবনের বাইরে খোলা আকাশের নিচে থাকা রোগীরা জানান, হাসপাতালে জায়গা না পাওয়ায় তারা বাইরে অবস্থান নিয়েছেন।

জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডের নার্সিং ইনচার্জ আয়শা আক্তার জানান, সরকারিভাবে যে ওষুধ এবং স্যালাইন বরাদ্দ আছে সেগুলো রোগীদের দেওয়া হচ্ছে। লোকবল স্বল্পতা থাকলেও সাধ্যমতো ওয়ার্ড পরিস্কার রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।

জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মলয় কৃষ্ণ বড়াল বলেন, জেনারেল হাসপাতালে মাত্র চার শয্যার ডায়রিয়া ওয়ার্ড। এর মধ্যে পুরুষ ওয়ার্ডে দুটি শয্যা এবং ২টি শয্যা মহিলা ওয়ার্ডে। সেখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন অর্ধশতাধিক। চার জনের জায়গায় ৫০ জনের অধিক রোগী থাকলে কিছু সংকট তো হবেই। লোকবল এবং স্থান স্বল্পতার কারণে প্রত্যাশা অনুযায়ী চিকিৎসা দেওয়া যাচ্ছে না।

তিনি আরও জানান, প্রতিদিন গড়ে ৫০ থেকে ৬০ জন ডায়রিয়া রোগী এই হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। গত মার্চে এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৭৫১ জন ডায়রিয়া রোগী। চলতি এপ্রিলে আজ (মঙ্গলবার) পর্যন্ত চিকিৎসা নিয়েছেন ৫১২ জন রোগী।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এনএস

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন