বিজ্ঞাপন

মিয়ানমারের প্রতি অবরোধ আরোপের আহ্বান

March 25, 2018 | 5:18 pm

।। স্পেশাল করেসপেন্ডন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: রোহিঙ্গা সংকট সৃষ্টির জন্য মিয়ানমারের প্রতি যথাযথ অবরোধ আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন নেদারল্যান্ডসের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং ওশেনিয়া বিভাগের প্রধান মিরা উল্ডবারগ।

রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে গত ২০ মার্চ তারিখে দি হেগে ‘মিয়ানমারের নিঃসঙ্গ একজনের আহ্বান’ শীর্ষক একটি সেমিনারে তিনি এ আহ্বান জানান। হেগের বাংলাদেশ মিশন থেকে রোববার দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।

বার্তায় বলা হয়, ‘মিয়ানমারের নিঃসঙ্গ একজনের আহ্বান’ শীর্ষক সেমিনারে মিয়ানমারের নাগরিক এবং রাজনৈতিক কর্মী খিন জ উইন সহ বক্তারা এ সমস্যার পেছনে অভিযুক্তদের বিচার করা এবং তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ অবরোধ আরোপের আহ্বান জানান।

বিজ্ঞাপন

 দি হেগের ‘হিউম্যানিটি হাউজ’ নামে পরিচিত একটি জাদুঘর এবং থিংক-ট্যাঙ্ক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শেখ মুহম্মদ বেলাল এবং নেদারল্যান্ডস পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং ওশেনিয়া বিভাগের প্রধান মিরা উল্ডবারগ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। এ ছাড়া বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন এবং এনজিওর প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

মিরা উল্ডবারগ জানান যে নেদারল্যান্ডস রোহিঙ্গা সমস্যাকে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের আলোচ্য সূচিতে নিয়ে আসার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ সমস্যা নিরসনে অভিযুক্তদের চিহ্নিত এবং তাদের ওপর প্রয়োজনীয় অবরোধ আরোপ ফলপ্রসূ হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

বিজ্ঞাপন

আলোচনায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর মিয়ানমার সরকারের বিগত প্রায় এক দশক ধরে যে পরিকল্পিত নিধনযজ্ঞ ও নির্যাতন চালাচ্ছে এবং যার ফলশ্রুতিতে দশ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে এবং কীভাবে বাংলাদেশ তা মোকাবিলা করছে তুলে ধরেন।

জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে গিয়ে উদ্ভূত অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, নিরাপত্তাজনিত, সামাজিক ইত্যাদি সমস্যার কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বেলাল মানবতার খাতিরে এ সমস্যার স্থায়ী সমাধানের ওপর জোর দেন। জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও সম্মানের সাথে তাদের স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের জন্য তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতার প্রতি আহ্বান জানান।

এ সমস্যার স্থায়ী সমাধানে জাতিসংঘের ৭২তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবিত ৫ দফাও তিনি তুলে ধরেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত। তিনি এই জাতিগত নিধনযজ্ঞে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনতে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধ যেন সংগঠিত না হয় সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নেদারল্যান্ডসের (জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বর্তমান সভাপতি হিসেবে) প্রতি আহ্বান জানান।

রোহিঙ্গা সমস্যা মোকাবিলায় মিয়ানমার সরকারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চির ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করে খিন জ উইন মিয়ানমারের গণতন্ত্রের পথে উত্তরণের সময়ে রাখাইন প্রদেশে সংগঠিত নির্যাতনকে জঘন্যতম জাতিগত নিধনযজ্ঞ বলে মন্তব্য করেন।

বিজ্ঞাপন

খিন বলেন, ‘রাখাইন’ থেকেই ‘রোহিঙ্গা’ শব্দের উৎপত্তি হয়েছে। রোহিঙ্গা সমস্যা নিরসনে বৌদ্ধ জাতীয়তাবাদের পরিবর্তে মিয়ানমার জাতীয়তাবাদের প্রতি তিনি গুরুত্বারোপ করেন।

বার্তায় আরো বলা হয়, খিন জ উইন খুব স্বল্পসংখ্যক বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের একজন। যিনি ন্যায়ের কথা বলছেন। এর আগে তিনি রাজনৈতিক বন্দি ছিলেন এবং বর্তমানে ইয়াংগুন ভিত্তিক দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করা প্রতিষ্ঠান ‘তাম্পাদিপা’র পরিচালক।

সারাবাংলা/জেআইএল/একে

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন