বিজ্ঞাপন

খুশি নন বাস মালিকরা, চান দূরপাল্লার অনুমতি

May 3, 2021 | 3:57 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: কঠোর বিধি-নিষেধের মধ্যে শুধুমাত্র অভ্যন্তরীণ রুটে গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। তবে সরকারের এ সিদ্ধান্তে খুশি নন গণপরিবহন মালিকরা। করোনা মহামারিতে নিজেদের আর্থিক লোকসান পুষিয়ে নিতে তারা দূরপাল্লায় বাস চলাচলের অনুমতি চাইছেন।

বিজ্ঞাপন

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ সারাবাংলাকে বলেন, ‘সরকার দোকানপাট শপিংমল সবই খুলে দিয়েছে। আমরা বাস চলাচলের অনুমতি চেয়ে সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছি। এখন ৬ মে থেকে শুধু সিটিতে চলাচলের অনুমতি দিয়েছে। এতে কী হবে? সিটিতে কয়টা গাড়ি চলে? সব তো দূরপাল্লার বাস।’

তিনি বলেন, ‘আমরা সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছি যাতে ঈদের আগে দূরপাল্লার বাস চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে বলে জানান তিনি।

এদিকে সোমবার (৩ মে) মন্ত্রিপরিষদ বৈঠক শেষে সংবাদ ব্রিফিং এ সাংবাদিকদের মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, মানুষের জীবন-জীবিকার কথা চিন্তা করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চলাচল করবে। শুধু শহরের মধ্যেই বাস চলাচল করবে। এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যেতে পারবে না।

বিজ্ঞাপন

তবে এখনই লঞ্চ ও যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান।

আরও পড়ুন:  ঈদেও চলবে না দূরপাল্লার গণপরিবহন

এর আগে (৩ মে) ময়মনসিংহ সড়ক জোন, বিআরটিএ ও বিআরটিসির কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিয় সভা শেষে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের জানান, জনস্বার্থ বিবেচনায় সরকার সীমিতভাবে বাস চলাচলের অনুমতি দিচ্ছে। জেলার গাড়ি জেলাতেই চলবে। কোনোভাবে জেলার সীমানা অতিক্রম করবে না। সিটির ক্ষেত্রেও একই নির্দেশনা থাকবে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘অর্ধেক আসন খালি রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গাড়ি চলবে।’

উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ এপ্রিল থেকে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় ১৪ এপ্রিল থেকে একই বিধিনিষেধ অব্যাহত রাখা হয়। যা পরবর্তীতে ২১ এপ্রিল এবং এর পর ২৮ এপ্রিল সেখান থেকে ৫ মে।

এবার ৬ মে থেকে আরও দশ দিন বাড়িয়ে ১৬ মে পর্যন্ত করা হচ্ছে। যদিও এরমধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট- শপিং মল চালু রাখার অনুমতি দিয়েছে সরকার। ৫ মে থেকে কঠোর বিধি-নিষেধ শুরুর দিন থেকে বন্ধ রয়েছে গণপরিবহন। এর ফলে পরিবহন খাতের বিপুল মানুষ জীবন-জীবিকা নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে।

এর আগে, গত বছরেও কয়েক দফা গণপরিবহন বন্ধ করে পরে আবার সীমিত আকারে চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো সরকার।

বিজ্ঞাপন

পরিবহন শ্রমিকদের অভিযোগ এবার গণপরিবহন বন্ধের পর সরকারের পক্ষ থেকে সহায়তার কথা বলা হলেও তা শ্রমিকদের কাছে খুব একটা পৌঁছায়নি। আবার মালিকরাও এ সময়টিতে তাদের তেমন কোনো সহায়তা করেনি বলেই অভিযোগ চালক ও শ্রমিকদের অনেকে।

এদিকে গণপরিবহন চালুসহ তিন দফা দাবিতে রাজধানীর বিভিন্ন বাস টার্মিনালে বিক্ষোভ মিছিল করে পরিবহন শ্রমিকরা। রোববার সকাল থেকে রাজধানীর সায়েদাবাদ, ফুলবাড়িয়া, গাবতলী, মহাখালী বাস টার্মিনালে জড়ো হতে থাকেন পরিবহন শ্রমিকরা। তারা বিভিন্ন দাবি সংবলিত ব্যানার-ফেস্টুন হাতে নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল অংশ নেন।

পরিবহন শ্রমিকদের তিন দফা দাবির মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আসনের অর্ধেক যাত্রী নিয়ে নৌ-পরিবহন ও পণ্য পরিবহন চলাচলের ব্যবস্থা করা, সড়ক পরিবহন শ্রমিকদের আর্থিক অনুদান ও খাদ্য সহায়তা দেওয়া এবং সারাদেশে বাস ও ট্রাক টার্মিনালগুলোতে পরিবহন শ্রমিকদের জন্য ১০ টাকায় ওএমএসের চাল বিক্রির ব্যবস্থা করা।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের অন্তর্ভুক্ত সারাদেশে ২৪৯টি পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন রোববার এ আন্দোলন কর্মসূচি পালন করে।

সারাবাংলা/জেআর/একে

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন