শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে পর্যাপ্ত বাজেট প্রয়োজন: বাংলাদেশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের জন্য পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দের ওপর জোর দিয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। এই সময় তিনি শান্তিরক্ষা মিশনগুলোর ওপর অর্পিত দায়িত্ব পরিপালনের জন্য পর্যাপ্ত ও টেকসই শান্তিরক্ষা বাজেটের কথা উল্লেখ করেন।

সোমবার (৩ মে) জাতিসংঘ সদর দফতর নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত শান্তিরক্ষা মিশনগুলোর বাজেট সেশনে প্রদত্ত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

নিউইয়র্কে অবস্থিত জাতিসংঘের বাংলাদেশে স্থায়ী মিশন থেকে মঙ্গলবার (৪ মে) জানানো হয়, ওই বাজেট সেশনে স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেন, শান্তিরক্ষা মিশনগুলোর ওপর অর্পিত বহুমুখী দায়িত্ব যথাযথভাবে পরিপালনের জন্য পর্যাপ্ত ও টেকসই শান্তিরক্ষা বাজেট প্রয়োজন। মিশনগুলো যথোপযুক্ত বাজেট পেল কি না, তাও নিশ্চিত করা জরুরি।

বাংলাদেশ বর্তমানে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে শীর্ষ শান্তিরক্ষী পাঠানো দেশ। বিশ্বের সাতটি মিশনে বাংলাদেশের প্রায় সাত হাজার শান্তিরক্ষী কর্মরত। শান্তিরক্ষা মিশনে সৈন্য ও পুলিশ পাঠানো দেশগুলো যেন তাদের শান্তিরক্ষী ও সাজ-সরঞ্জাম মোতায়েনের অর্থ যথাসময়ে পায়, তা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি।

বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে শান্তিরক্ষীরা বিশ্বের সংঘাতপ্রবণ অঞ্চলে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বজায় রাখার ক্ষেত্রে অব্যাহত ও নিবেদিতভাবে যে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, তার ভূয়সী প্রশংসা করেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। তাই এ বাজেট বরাদ্দের সময় যেন কোভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় বাড়তি অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়, সে বিষয়ে সদস্য রাষ্ট্রগুলোরর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নারীর অংশগ্রহণ আরও বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। তিনি বলেন, শান্তিরক্ষায় নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানোর বিষয়টি বাংলাদেশের ‘নারী, শান্তি ও সুরক্ষা’ বিষয়ক জাতীয় কর্মপরিকল্পনার মূল কৌশলের একটি। শান্তিরক্ষা কার্যক্রম, বিশেষ করে এর উচ্চ পর্যায়ে নারীর অংশগ্রহণ কম থাকার বিষয়টিতে উদ্বেগ জানান তিনি।

রাবাব ফাতিমা বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের সব স্তরে নারীর পূর্ণ, কার্যকর ও অর্থবহ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে অবশ্যই আমাদেরকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।

উল্লেখ্য, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের বাজেট বরাদ্দের বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ পরিষদের পঞ্চম কমিটির সভা প্রতিবছর মে মাসে অনুষ্ঠিত হয়।

সারাবাংলা/জেআইএল/টিআর