May 6, 2021 | 1:03 pm
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: উন্নত চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার আবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে পৌঁছেছে। মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, আবেদনটি যাচাই-বাছাইয়ের প্রক্রিয়া চলছে। আর আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, আবেদন এখনো তার কাছে পৌঁছেনি। আবেদন পেলে তারপর দেখে আইন অনুযায়ী সিদ্ধান্ত জানাবেন।
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসনকে বিদেশে নেওয়ার জন্য বুধবার (৫ মে) রাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার। আবেদনটি বৃহস্পতিবার (৬ মে) আইন মন্ত্রণালয়ে পৌঁছেছে।
খালেদা জিয়া বিদেশে নেওয়ার আবেদন সম্পর্কে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমার কাছে এরকম কোনো আবেদন আসেনি৷ আবেদন পেলে সেটা দেখে তারপর সিদ্ধান্ত জানাতে পারব। আবেদন না দেখে কোনো মন্তব্য করতে পারছি না।’
তবে আইন মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র সারাবাংলাকে নিশ্চিত করেছে, খালেদা জিয়ার পরিবারের আবেদনটি বৃহস্পতিবার আইন মন্ত্রণালয়ে এসেছে। আবেদনটি আইনমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপনের জন্য প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আইনমন্ত্রী এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।
এ বিষয়ে জানতে আইন সচিব গোলাম সারওয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি সারাবাংলাকে বলেন, জরুরি একটি মিটিংয়ে আছি। এখন এ বিষয়ে কথা বলতে পারছি না।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি ও শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় গত সোমবার (৩ মে) তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নেওয়া হয়। খালেদা জিয়ার চিকিৎসক দলের সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন সবশেষ বুধবার রাতে ব্রিফিং করে জানান, তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।
এর আগে, গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। তারপর ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে গুলশানের নিজ বাসভবন ফিরোজায় চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তিনি। চারদিন পর ১৫ এপ্রিল তাকে নেওয়া হয় এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেসময় চিকিৎসকরা জানান, সিটি স্ক্যানের জন্য তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। সেই রাতেই বাসায় নিয়ে যাওয়া হয় খালেদা জিয়াকে।
পরে ২৫ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় নমুনা জমা দেওয়ার পর আবারও করোনা পজিটিভ আসে বিএনপি চেয়ারপারসনের। এরপর ২৭ এপ্রিল নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য তাকে ফের এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়৷ পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ না হওয়ায় তাকে ভর্তিও করা হয় সে রাতে। সেখানে অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার চিকিৎসা দেখভাল করছেন।
সারাবাংলা/জিএস/এএম