বিজ্ঞাপন

খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে লুকোচুরি খেলবেন না— ফখরুলকে নানক

May 8, 2021 | 7:27 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, খালেদা জিয়া এ দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তার অসুস্থতা নিয়ে লুকোচুরি খেলার কোনো কারণই মির্জা ফখরুল সাহেব। তার আসলে কী হয়েছে, কী অবস্থায় আছেন— দেশবাসী অবশ্যই জানার অধিকার রাখে। সেটি নিয়ে লুকোচুরি করবেন না।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (৮ মে) বিকেলে বনানী এরশাদ স্কুল মাঠে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার নির্দেশে করোনায় ক্ষতিগ্রস্থদের খাদ্য সামগ্রী ও ঈদ উপহার বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘খালেদা জিয়া একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তার পরেও আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা মানবতার কারণে তাকে ছয় মাসের জামিন দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী ক্ষমতাবলে ছয় মাসের জন্য অন্তবর্তীকালীন জামিন দিয়ে তাকে তার বাড়িতে রেখেছিলেন। সেই অন্তবর্তীকালীন জামিন তিনবার বাড়ানো হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘এই খালেদা জিয়া-তারেক ২০০৪ সালের ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে হত্যা করতে চেয়েছিলেন আমাদের নেত্রীকে। এরপরেও তিনি (খালেদা জিয়া) অসুস্থ হয়েছেন, সেজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহানুভূতিশীল। কিন্তু সেই সহানুভূতিকে কি কাজে লাগাচ্ছে বিএনপি? খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে লুকোচুরি খেলবেন না।’

বিজ্ঞাপন

বিএনপি মহাসচিবের উদ্দেশে নানক বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একবার বলেন উনি (খালেদা জিয়া) পরিপূর্ণ সুস্থ, পরের দিন আবার বলেন উনি সুস্থ নাকি অনেক অসুস্থ। একবার বলে উনার করোনা হয়েছে, আবার বলে হয়নি। একি লুকোচুরি? একি ভাওতাবাজি?’

তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া যেমনভাবেই অসুস্থ হোক না কেন, আমরা তার সুস্থতা কামনা করি। তেমনিভাবে বিএনপি নামক দলটি এই দেশে রাজনীতি করুক, সুস্থ পথে রাজনীতি করুক, দলটিও তার অসুস্থতা থেকে বেরিয়ে এসে সুস্থ ধারায় রাজনীতি করুক আমরা সেটা চাই।’

করোনা সংক্রমণে সরকারের কার্যক্রম নিয়ে বলেন, ‘করোনায় আক্রান্ত হয়ে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত তছনছ হয়ে যাচ্ছে। লাশের গন্ধে দিল্লি-কলকাতার আকাশ-বাতাস ভারি হয়ে গেছে। আর আল্লাহর অসীম কৃপায় এবং রহমতে বাংলাদেশ সেই অবস্থার সৃষ্টি হয়নি। একদিকে আল্লাহ তাআলার রহমত আরেকদিকে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণতা, সাহসিকতার কারণে, সততার কারণে আজ বাংলাদেশে আমরা এইভাবে বসে কথা বলতে পারি।’

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে মির্জা আজম বলেন, ‘উন্নত দেশের রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী যখন দিশেহারা, যখন আসমানের দিকে তাকিয়ে থাকে নিরুপায় হয়ে। তখন আমার দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিদিন মিডিয়ার সামনে আসছেন। বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষকে তিনি সাহস দিচ্ছেন, অনুপ্রেরণা দিচ্ছেন, দিকনির্দেশনা ও তাত্ত্বিক নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন। সরকারের পক্ষ থেকে গত ১৪ মাসে নিম্নআয়ের মানুষগুলোকে লক্ষ কোটি টাকার ত্রাণ সামগ্রীসহ সহযোগিতা তিনি দিয়ে আসছেন।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশের মানুষের পাশে আছে এবং থাকবে। এতে হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই। আজ শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। চারদলীয় জোট ৫০ বছর ক্ষমতায় থাকার জন্য শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চেয়েছিল। একবার-দু’বার নয়, অনেকবার চেষ্টা করেছেন। সেই বেগম খালেদা জিয়া যখন জেলখানায় ছিলেন মানবিক কারণে শেখ হাসিনা তার নির্বাহী ক্ষমতা বলে জেলখানাতে খালেদা জিয়াকে সহযোগিতা করার জন্য এক মহিলাকে দিয়ে দেন। যেটা আইনে নেই। আজকে খালেদা জিয়া অসুস্থ। তাকে জামিন দিয়েছেন অসুস্থ অবস্থায়। তাকে সুচিকিৎসা দেওয়ার জন্য শেখ হাসিনার কাছে আবেদন করেছেন তার পরিবার। প্রধানমন্ত্রী সেটা বিবেচনা করছেন।’

১৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কাউন্সিলর মফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- আওয়ামী লীগে সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, ঢাকা উত্তর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি, দফতর সম্পাদক উইলিয়াম প্রলয় সমদ্দার বাপ্পী প্রমুখ। পরে আড়াই হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী ও ঈদ উপহার বিতরণ করা হয়।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এনআর/পিটিএম

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন