বিজ্ঞাপন

ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য দায়ী মোদি সরকার: ল্যানসেট

May 9, 2021 | 5:33 pm

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ভারতে করোনাভাইরাস মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ে চলমান সংকট মোদি সরকারের তৈরি বলে সমালোচনা করেছে বিজ্ঞান সাময়িকী দ্য ল্যানসেট। জার্নালটি তাদের এক সম্পাদকীয়তে ভারতে বর্তমান করোনা সংকটের জন্য সরকারকে দায়ী করে বলে, “করোনা মোকাবিলায় মোদি সরকার প্রথম দফার সাফল্যকে তছনছ করে দিয়েছে”।

বিজ্ঞাপন

ল্যানসেটের সম্পাদকীয়তে বলা হয়, “প্রধানমন্ত্রী মোদির সরকার করোনাভাইরাসের বিস্তার দমনের দিকে মনোযোগ না দিয়ে টুইটারে সমালোচনামূলক পোস্ট মুছে দিতেই বেশি ব্যস্ত ছিল”।

ল্যানসেটের সম্পাদকীয়তে সরকারের তীব্র সমালোচনা করে বলা হয়, “বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও ধর্মীয় উৎসব পালন এবং রাজনৈতিক সভার মতো অতি সংক্রামক অনুষ্ঠান হতে দিয়েছে সরকার। এই ধরনের অতি সংক্রামক অনুষ্ঠানই দেশটিতে বিপদ ডেকে এনেছে। এই সংকটজনক পরিস্থিতিতে সমালোচনা ও খোলামেলা আলোচনাকে শ্বাসরুদ্ধ করার চেষ্টা ক্ষমার অযোগ্য”।

“কয়েক মাস সংক্রমণের হার কমতে থাকায় ভারত করোনা ভাইরাসকে পরাস্ত করেছে, জনগণকে এরকম বার্তা দিতে থাকে সরকার। সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন বলেছিলেন, ভারতে মহামারির খেলা শেষ। যদিও তার আগে বারবার করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এবং নতুন স্ট্রেন নিয়ে সতর্কবার্তা দেওয়া হচ্ছিল”— ওই সম্পাদকীয়তে বলেছে ল্যানসেট।

বিজ্ঞাপন

ল্যানসেটের সম্পাদকীয়তে এ সংকট নিরসনে ভারতকে পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। এতে ভারতকে ভ্যাকসিন কার্যক্রম তরান্বিত করার তাগিদ দেওয়া হয়। ভ্যাকসিন কার্যক্রম বেগবান করতে ন্যায্যতাভিত্তিক সরবরাহ ব্যবস্থা নিশ্চিত করার উপর গুরুত্ব দিতে বলা হয় সরকারকে। ভ্যাকসিন বণ্টনে সরকারকে স্থানীয় স্বাস্থ্য পরিষেবা কেন্দ্রের সঙ্গে কাজ করারও পরামর্শ দেওয়া হয়।

ল্যানসেট সামইয়িকী সরকারকে করোনাভাইরাসের গতিপ্রকৃতি ও বিভিন্ন পরিসংখ্যান সময়মতো সঠিকভাবে প্রকাশ করার তাগিদ দেয়। এছাড়া করোনার বিস্তার রোধে করণীয়, সামাজিক দূরত্ব, ঐচ্ছিক কোয়ারেনটাইনের গুরুত্ব, মাস্ক পরার প্রয়োজনীয়তা ইত্যাদি, এমনকি লকডাউন পরিস্থিতি তৈরি হলেও সে সম্পর্কে জনগণকে সঠিক তথ্য দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় সরকারকে।

এ ব্যাপারে ভারত সরকারের তরফ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি।

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত ভারত। দেশটিতে সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত দুই কোটি ২০ লাখের বেশি মানুষ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। রোববারে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী দেশটিতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৪২ হাজার।

সারাবাংলা/আইই

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন