ইসরাইলে হামাসের রকেট হামলা
১১ মে ২০২১ ০০:৫১ | আপডেট: ১১ মে ২০২১ ০০:৫৩
জেরুজালেমে ফিলিস্তিনিদের উপর ইসরাইলি পুলিশ বাহিনীর হামলার জবাবে গাজা থেকে রকেট হামলা চালিয়েছে হামাস। এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে রকেট হামলায় ইসরাইলের পার্লামেন্ট ভবনে সাইরেন বেজে উঠে ও তাৎক্ষনিক গোটা ভবন খালি করা হয়। বিবিসির খবর।
সোমবার (১০ মে) আল আকসা মসজিদে ফিলিস্তিনিদের উপর পুলিশের হামলার পর হামাস নেতারা ইসরাইলে রকেট হামলার হুমকি দেন। ওই দিনই হামাসের রকেট জেরুজালেম এলাকা ও ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে আঘাত করে। পাল্টা জবাবে ইসরাইলও গাজার উত্তরাঞ্চলে বিমান হামলা চালায়। এতে ৯ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে।
ইসরাইল দাবি করেছে, তাদের বিমান হামলায় তিন হামাস নেতার মৃত্যু হয়েছে। ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র লেফট্যানেন্ট কর্নেল জোনাথন কনরিকাস সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা গাজায় হামাসের ঘাঁটিতে হামলা শুরু করেছি’।
হামাস সূত্রের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, হামাসের ইজ্জেদাইন আল কাশেম বিগ্রেডের কমান্ডার মোহাম্মদ আবদুল্লা ফায়দে ইসরাইলি বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন। এছাড়া গাজায় হামাস পরিচালিত সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরাইলি বিমান হামলায় শিশুসহ ৯ জন নিহত হয়েছেন।
গত সপ্তাহ ধরে পূর্ব জেরুজালেমের শেখ জারা অঞ্চল থেকে ফিলিস্তিনদের উচ্ছেদ করা হতে পারে এমন আশঙ্কায় ফিলিস্তিনি পরিবারের প্রতি সংহতি জানিয়ে টানা অবস্থান করছেন বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন মানবাধিকার গ্রুপের সদস্যরা। এছাড়া আল আকসা মসজিদেও অবস্থান নেয় ফিলিস্তিনিরা। তাদের সরাতে শুক্রবার হামলা চালিয়েছিল পুলিশ। সোমবার ওই এলাকায় জেরুজালেম দিবস পালন করতে আসা ইসরাইলি নাগরিকদের সঙ্গেও ফিলিস্তিনিদের সংঘর্ষ হয়। তারপরই গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বাহিনী বিমান হামলা চালাতে পারে এমন খবর প্রকাশ করছিল স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো।
প্রসঙ্গত, ১৯৬৭ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে জেরুজালেম ইসরায়েলের দখলে চলে যায়। জেরুজালেম বিজয়ের স্মরণে ১০ মে জেরুজালেম দিবস হিসেবে পালন করে ইহুদি জাতীয়তাবাদীরা। এই দিবসে শহরজুড়ে শোভাযাত্রা বের করা হয়।