বিজ্ঞাপন

খাগড়াছড়িতে পর্যটন কেন্দ্র জনশূন্য, লোকসানে হোটেল মালিকরা

May 16, 2021 | 12:26 pm

ডিস্ট্রিক্ট করসেপন্ডেন্ট

খাগড়াছড়ি: করোনাভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় বন্ধ রয়েছে খাগড়াছড়ি জেলার পর্যটনকেন্দ্রগুলো। তাই এবারের ঈদে সেখানে লাগেনি আন্দন্দের ছোঁয়া। একসময় স্থানীয় ও বাইরের পর্যটকে গমগম করা বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে এখন শুনশান নিরবতা। জনশূন্য থাকায় লোকসান গুনছেন পর্যটন কেন্দ্রের বিভিন্ন হোটেল মালিকরা।

বিজ্ঞাপন

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক করোনাভাইরাস প্রতিরোধের জন্য গত ৩১ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে জেলার অর্ধশতাধিক পর্যটন ও বিনোদনপার্ক। সরকার পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সকল পর্যটন স্পট বন্ধ থাকবে।

খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম জানান, জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা মোতাবেক পর্যটন কেন্দ্রগুলো বন্ধ থাকলেও পর্যটন সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী এখন পর্যন্ত আর্থিক প্রনোদনা পায়নি। খোলা থাকা অবস্থায় জেলা পরিষদ পার্কে গড়ে দুই থেকে আড়াই হাজার পর্যটক এবং ছুটির দিনে পাঁচ হাজার পর্যন্ত পর্যটক আসত এবং তাদের ভালো আয় হতো। পুরো পার্কে প্রায় ৩০ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী রয়েছে। তবে আয় কমে গেলেও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতনভাতা বন্ধ নেই।

খাগড়াছড়ি শহরের গাইরিং হোটেলের মালিক অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা বলেন, দীর্ঘদিন হোটেলটি বন্ধ রয়েছে। ইতোমধ্যে লাখ লাখ টাকার লোকসান হয়েছে। আয় না থাকলেও স্টাফদের বেতন/ভাতা পরিশোধ করতে হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

হোটেল গ্রিন স্টারের মালিক কল্যাণ মিত্র বড়ুয়াও অনেকটা একই সুরে কথা বলে জানান, খাগড়াছড়ি ও সাজেকে প্রায় দুই শতাধিক হোটেল, মোটেল ও গেস্ট হাউজ আছে। গড়ে দশ হাজার লোক এই পর্যটন ব্যবসায় সরাসরি জড়িত। যে ক্ষতি হচ্ছে তা পূরণ হবে না। পর্যটন খাতের বিষয়ে সরকারের কার্যকরী হস্তক্ষেপ কামনা করি।

জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, সকল সেক্টর নিয়ে সরকার চিন্তাভাবনা করেন, তারপর পদক্ষেপ নেন। বিনোদনের চেয়ে দেশের মানুষের জীবন আগে, তাই করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সরকারকে পর্যটনকেন্দ্রগুলো বন্ধ রাখতে হয়েছে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ কমলে সব খুলে দেওয়া হবে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসএসএ

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন