বিজ্ঞাপন

‘নোবেল প্রাপ্য ছিল শেখ হাসিনার, সেই নোবেল যায় অশান্তির দেশে’

May 16, 2021 | 3:53 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। অথচ যেসব দেশে অশান্তি বিরাজ করছে, সেসব দেশের নেতারা নোবেল পেয়েছেন বলে আক্ষেপও করেছেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে একটা স্বীকৃতি শেখ হাসিনার প্রাপ্য ছিল। নোবেল পুরস্কার প্রাপ্য ছিল শেখ হাসিনার। অথচ দুঃখ লাগে, নোবেল শান্তি পুরস্কার চলে যাচ্ছে অশান্তির দেশে। এমন দেশে নোবেল যাচ্ছে যেখানে যুদ্ধবিগ্রহ লেগে আছে, গণহত্যা আছে।

রোববার (১৬ মে) দুপুরে ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু ভবন চত্বরে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে দলের তথ্য ও গবেষণা উপকমিটির তথ্যচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। পরে ‘শেখ হাসিনার চার দশক: বদলে যাওয়া বাংলাদেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রা’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী তথ্যচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন ঘোষণা করেন তিনি। অনুষ্ঠানে সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি যুক্ত হন।

বিজ্ঞাপন

ওবায়দুল কাদের বলেন, পিতা বঙ্গবন্ধুর মতোই অন্ধকারের বিরুদ্ধে, দুর্যোগের বিরুদ্ধে, ঝড়ের মধ্যে অপ্রতিরোধ্যভাবে ও অকুতোভয়ে এগিয়ে যাওয়ার আরেক নাম শেখ হাসিনা। সামরিক শাসকের রক্তচক্ষু নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ১৭ মে স্বদেশ ভূমিতে প্রত্যাবর্তন করেন শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শেষে ছয় বছর পর বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে ফিরে আসেন শেখ হাসিনা। সেদিন রাজধানী ঢাকা মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ঢাকা শহর মিছিলে আর স্লোগানে প্রকম্পিত হয়। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যেও, প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টির মধ্যেও লাখ লাখ মানুষের মিছিলকে প্রতিরোধ করতে পারেনি কোনো শক্তি। জনতার কণ্ঠ বজ্রনিনাদে ঘোষিত হয়েছিল— ‘হাসিনা তোমায় কথা দিলাম, পিতৃহত্যার বদলা নেব’/ ‘শেখ হাসিনার আগমন, শুভেচ্ছা স্বাগতম’।

দেশে ফিরে অবরুদ্ধ গণতন্ত্রকে শৃঙ্খলমুক্ত করতে শেখ হাসিনা দেশব্যাপী ছুটে বেড়িয়েছেন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা একজন সংগ্রামী নেতা থেকে এখন জনপ্রিয় রাজনৈতিক ও উন্নয়নের নেতা হিসেবে পরিণত হয়েছেন। শেখ হাসিনার জন্যই জাতি আজ মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে পেরেছে।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা এসেছিলেন বলেই বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকর করা হয়েছে। তাই বাংলাদেশ পাপমুক্ত ও কলঙ্কমুক্ত হয়েছে। শেখ হাসিনার মতো নেতৃত্ব আছে বলেই বাংলাদেশে আজ সীমান্ত ও ছিটমহল সমস্যার সমাধান এবং সমুদ্রসীমা জয়লাভসহ গঙ্গার নদীর পানির ন্যায্য পাওনা বুঝে পেয়েছে এবং অন্যান্য বিষয় নিয়েও সমাধান হবে।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ আজ পারমাণবিক বোমা ছাড়া আর্থসামাজিক সব সূচকে পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে— বলেন ওবায়দুল কাদের।

শেখ হাসিনার চলার পথ কণ্টকাকীর্ণ ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, তবুও শেখ হাসিনা এগিয়ে গেছেন মানুষের মুক্তির জন্য,অবরুদ্ধ গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার জন্য। তিনি এসেছিলেন বলেই কলহ-কোন্দলে জর্জরিত আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। শেখ হাসিনা আজ আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবেও চার দশক অতিক্রম করেছেন। তিনি আজ আওয়ামী লীগকেও অতিক্রম করেছেন।

কোনো দেশের নাম উল্লেখ না করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে একটি স্বীকৃতি শেখ হাসিনার প্রাপ্য ছিল। নোবেল প্রাপ্য ছিল শেখ হাসিনার। অথচ দুঃখ লাগে, অশান্তির দেশে নোবেল শান্তি পুরস্কার যায়। যেখানে যুদ্ধবিগ্রহ লেগে আছে, গণহত্যা আছে— সেখানে নোবেল যায়। অথচ পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি চুক্তি, উইমেন এমপাওয়ারমেন্ট, ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় প্রদান, দারিদ্র্য বিমোচন— এমন অনেক সাফল্য শেখ হাসিনার। আন্তর্জাতিক একটি স্বীকৃতি তিনি হয়তো পাননি, কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে শেখ হাসিনার জন্য যে নোবেল পুরস্কার মানুষের অন্তরে লেখা হয়ে গেছে— এই নোবেল পুরস্কার কেউ কোনোদিন ছিনিয়ে নিতে পারবে না। অনন্তকাল ধরে বাংলার মানুষ তাকে স্বীকৃতি দেবে।

‘বঙ্গবন্ধু ছিলেন রাজনীতির রোল মডেল। আর উন্নয়নের রোল মডেল হিসাবে শেখ হাসিনার নাম চিরভাস্মর হয়ে থাকবে’,— বলেন ওবায়দুল কাদের।

বিজ্ঞাপন

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ড. মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক উপকমিটির সদস্যরা।

সারাবাংলা/এনআর/এসএসএ

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন