বিজ্ঞাপন

সুইজারল্যান্ডে ‘গণহত্যা দিবস’ উদযাপন

March 26, 2018 | 5:03 pm

।। জেনেভা থেকে।।

বিজ্ঞাপন

জেনেভায় ‘গণহত্যা দিবস’ উপলক্ষে আলোচনা সভা করেছে সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগ। সভার শুরুতে ৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন উপস্থিত নেতা-কর্মীরা।

সভার প্রধান অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক দীপু মনি বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ বিশ্ব ইতিহাসের এক কলঙ্কময় অধ্যায়। ওই দিন বাঙালি জাতিকে পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল পাকিস্তানি বর্বর হানাদার বাহিনী। তবে বাংলার মুক্তিকামী মানুষকে তারা দমিয়ে রাখতে পারেনি।

বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের হুইপ আ স এম ফিরোজ বলেন, বাঙালি বীরেরা ৩০ লাখ মানুষের জীবন ও দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে বিজয় ছিনিয়ে এনেছিলো। তাদের ত্যাগ আর বীরোচিত ভূমিকার কারণেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল।

বিজ্ঞাপন

আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ বলেন, ‘গণহত্যা দিবস’ পালনের অন্যতম উদ্দেশ্য- ইতিহাসের জঘন্যতম এই হত্যাযজ্ঞের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায় করা; আর সে লক্ষ্যে বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের দূতাবাসসগুলো কাজ করে যাচ্ছে। এই স্বীকৃতি অর্জনের মাধ্যমেই শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন পরিপূর্ণতা পাবে।

সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগ-এর সভাপতি তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শ্যামল খান এর উপস্থাপনায় আরও বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত, সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগ-এর সাংগঠনিক সম্পাদক ও ডেনমার্ক আওয়ামী লীগ-এর সাধারণ সম্পাদক ড. বিদ্যুৎ বড়ুয়া, সাবেক সভাপতি হারুনুর রশিদ ব্যাপারী, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট অমি রহমান পিয়ালসহ অনেকে।

সভাশেষে স্বাধীনতা সংগ্রামে জীবন উৎসর্গকারী শহীদদের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করে দোয়া করা হয়।

বিজ্ঞাপন

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে বাঙালি জাতিসত্ত্বাকে নিশ্চিহ্ন করার উদ্দেশ্যে সুপরিকল্পিতভাবে গণহত্যা চালায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। যা বিংশ শতাব্দির নিকৃষ্টতম পাঁচটি গণহত্যার একটি। ওই দিন রাতে ঘুমন্ত, নিরস্ত্র-নিরপরাধ বাঙালির উপর জঘন্যতম ও নৃশংসতম হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়। তাই ২৫ মার্চকে ‘গণহত্যা দিবস’ হিসাবে পালন করে বাঙালি জাতি।

সারাবাংলা/আইএ/এমআই

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন