‘ধারের বাজার বেশ ভালো, বিদেশিরা ধার দেওয়ার জন্য বসে আছে’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বিদেশিদের কাছ থেকে ঋণ নেওয়া ও পরিশোধ করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সুনাম রয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। সে কারণে বিদেশিরা বাংলাদেশকে ঋণ দিতে চায় বলেও জানিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার (৪ জুন) বিকেলে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী এসব কথা বলেন। করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে গত বছরের মতো এ বছরও ভার্চুয়াল মাধ্যমে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, আমরা বিদেশিদের কাছে ধার নিলেও নিয়মিতভাবে তা পরিশোধ করছি। ঋণ পরিশোধের রেকর্ডও আমাদের ভালো। আমরা ধার নিয়ে খেয়ে কখনো ফেলি না। আমরা ধার নিয়ে দেশের জন্য কাজে লাগাই।

আরও পড়ুন-

• বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী
• স্বাস্থ্য খাতে যত টাকা লাগবে, ততই পাওয়া যাবে
• আমাদের ঋণ দেওয়ার সময় এসে গেছে: অর্থমন্ত্রী
• বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বাড়াতে ব্যবসাবান্ধব বাজেট: অর্থমন্ত্রী
• বাজেটে দেশীয় কৃষি উৎপাদনকে উৎসাহিত করায় সন্তুষ্ট কৃষিমন্ত্রী

বাজেট ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী অর্থের সংস্থান প্রসঙ্গে এম এ মান্নান বলেন, আপনারা সবাই জানেন টাকা কোথা থেকে আসে। এটা চিরাচরিত প্রথা। বাজেটের অর্থ হয় অভ্যন্তরীণ খাত অথবা বিদেশ থেকে ধার নিতে হবে। এসব ক্ষেত্রে আমাদের সুনাম ভালো, ওভারঅল ভালো করেছি।

পরিকল্পনা বলেন, গত ১০ বছরের বাজেটে আমরা ইতিবাচক ধারা অর্জন করেছি। এবারও তার কোনো ব্যতিক্রম নেই। এখন ধারের বাজারও বেশ ভালো। বিদেশিরা ধার দেওয়ার জন্য বসে রয়েছে। কোভিডের মধ্যেও আমরা ভালো করছি। আমরা এগিয়ে যাচ্ছি এবং এগিয়ে যাব।

বাজেটে ঘাটতি প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, আমরা উন্নয়নশীল দেশ, বাজেটে ঘাটতি হবেই। আমরা সবাই একটা অনুমানের জগতে আছি। গত ১০ বছরের বাজেটে ইতিবাচক ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছি। অর্থের কোনো সমস্যা হবে না। কোভিডের মধ্যেও আমাদের মাথাপিছু আয় ও জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে আমরা বেশ ভালো করছি।

সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. ফজলে কবির, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, অর্থ সচিব আব্দুর রউফ তালুকদারসহ অন্যরা যুক্ত ছিলেন।

সারাবাংলা/জিএসটি/আর