বিজ্ঞাপন

বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ, চসিক’কে সৌদি-জার্মান কোম্পানির প্রস্তাব

June 6, 2021 | 9:15 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) সংগ্রহ করা বর্জ্য পরিশোধন করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রস্তাব দিয়েছে সৌদি-জার্মানভিত্তিক একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র। তাদের প্রস্তাবমতে, বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সিটি করপোরেশনকে কোনো খরচ দিতে হবে না। শুধুমাত্র কাঁচামাল হিসেবে সিটি করপোরেশনের সংগ্রহ করা বর্জ্য তাদের সরবরাহ করতে হবে। অনুমোদন পেলে দুই বছরের মধ্যে এই প্রকল্প চালুর নিশ্চয়তাও দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

বিজ্ঞাপন

রোববার (৬ জুন) চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সৌদিয়া-জার্মান পাওয়ার প্লান্ট লিমিটেডের এদেশীয় একটি প্রতিনিধি দল এই প্রস্তাব দিয়েছে।

জানতে চাইলে চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী সারাবাংলাকে বলেন, ‘একই ধরনের প্রস্তাব আমরা আরও ১০-১২টি পেয়েছি। সেগুলো সবই চীনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রস্তাব। এবার সৌদিআরব ও জার্মানির যৌথ কোম্পানির একটি প্রস্তাব পেয়েছি। তারা বলছে, জার্মান প্রযুক্তিতে তারা বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি করবে। জার্মানির সিমেন্স কোম্পানি মেশিনারিক কেনার ক্ষেত্রে সহায়তা দেবে। অবকাঠামো নির্মাণ, জমি ক্রয়ের খরচও তারাই দেবে। আমরা শুধু তাদের বর্জ্য সরবরাহ করব। মোট কথা হচ্ছে, আমাদের এক টাকাও খরচ হবে না। সম্পূর্ণ ব্যয়ভার তারাই বহন করবে।’

চসিক’র ব্যবস্থাপনায় প্রতিদিন প্রায় তিন হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য ৪১টি ওয়ার্ড থেকে সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট দু’টি স্থানে ডাম্পিং করা হয়। বর্জ্য পরিবহন ও ব্যবস্থাপনায় কর্মরতদের অর্ধেক খরচ বহনের প্রতিশ্রুতিও প্রতিষ্ঠানটি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন মেয়র।

বিজ্ঞাপন

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সৌদিয়া-জার্মান পাওয়ার প্ল্যান্ট লিমিটেডের প্রতিনিধি দল বলেছে— বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে কমপক্ষে ৩০ থেকে ৩৫ একর জায়গা প্রয়োজন হবে। এ সময় মেয়র তাদের জানান, এই পরিমাণ জায়গা দেওয়া ও ব্যয়ভার বহন করা সিটি করপোরেশনের পক্ষে সম্ভব নয়। তখন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা জানান, প্রয়োজনীয় জায়গা তারা নিজ খরচে কিনবেন।

এছাড়া চসিকের যে দুটি ডাম্পিং স্টেশন আছে, সেগুলো চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার ছয় মাসের মধ্যে পরিষ্কার করে আয়বর্ধক কাজে ব্যবহারের উপযোগী করে দেওয়ারও প্রস্তাব দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এ সময় প্রতিনিধি দল জানিয়েছে, করপোরেশনের অনুমতি পেলে এবং কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত বিপর্যয়ের সম্মুখীন না হলে তারা ২৪ থেকে ২৬ মাসের মধ্যে প্রকল্প চালু করতে পারবে।

মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী সারাবাংলাকে বলেন, ‘তারা যেসব প্রস্তাব দিয়েছে সেগুলোর সত্যতা কতটুকু, আদৌ তাদের সেই সক্ষমতা আছে কি না, সেগুলো আমরা যাচাই-বাছাই করে দেখব। এরপর তাদের প্রস্তাবসহ আমাদের মতামত আমরা মন্ত্রণালয়ে পাঠাব। মন্ত্রণালয় যদি সিদ্ধান্ত দেয়, তাহলে তাদের কাজের অনুমতি দেওয়া হবে। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, বর্জ্য পরিশোধন করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনাটি করেছিলেন আমাদের সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী। কিন্তু দীর্ঘসময়েও এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়নি। এটা বাস্তবায়ন হওয়া উচিৎ।’

বিজ্ঞাপন

এই সাক্ষাতের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন— চসিক সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম ও মো. আবুল সালেহ, নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাদাত মো. তৈয়ব ও আশিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী, সৌদিয়া-জার্মান পাওয়ার প্লান্ট লিমিটেডের এদেশীয় ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৌরভ সিদ্দিকী, পরিচালক সাখাওয়াত জাকি, আসিকুর রহমান ও মাজিদ আহমেদ।

সারাবাংলা/আরডি/এনএস

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন