বিজ্ঞাপন

রাজধানীতে একজনের আত্মহত্যা, বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আরেকজনের মৃত্যু

June 9, 2021 | 10:40 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে এক কলেজছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন এবং আরেকজন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন। বুধবার (৯ জুন) রাজধানীর খিলগাঁও এবং যাত্রাবাড়ীতে মৃত্যুর ঘটনা দুটি ঘটে।

বিজ্ঞাপন

বেলা সাড়ে তিনটার দিকে রাজধানীর খিলগাঁও মেরাদিয়া এলাকার একটি বাসায় গলায় ফাঁস দেয় তানিয়া আক্তার (২৪) নামে এক কলেজছাত্রী। পরে অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।

তানিয়ার মা মাজেদা খাতুন জানান, দুপুরে বাসায় এক সঙ্গে রান্না করছিল তারা। তখন তানিয়া আটার রুটি বানিয়ে দিতে বলে। মা একটু পর রুটি বানিয়ে দেবে বললে সে রাগ করে তার রুমে চলে যায়। পরে রুমের দরজা বন্ধ করে দেয়। কিছুক্ষণ পর তানিয়াকে ডাকাডাকি করলেও কোনো সাড়া-শব্দ পাওয়া যায় না। তখন সন্দেহ হলে দরজা ভেঙে দেখি তানিয়া ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে আছে। সেখান থেকে নামিয়ে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

তাদের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার গোপালপুর গ্রামে। বাবা মুদি ব্যবসায়ী নাজির হোসেন। তিন ভাই এক বোনের মধ্যে দ্বিতীয় ছিল তানিয়া। সে খিলগাঁও মডেল কলেজের ব্যবসা শিক্ষায় অনার্স তৃতীয় বর্ষে পড়তো।

বিজ্ঞাপন

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মৃতদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনাটি খিলগাঁও থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।

এদিকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মোশারফ হোসেন (৪২) নামের এক রাজমিস্ত্রী মারা গেছেন। বুধবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে পশ্চিম যাত্রাবাড়ী শহীদ ফারুক সড়কের একটি বাসার চতুর্থ তলায় ঘটনাটি ঘটে। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক রাত সোয়া আটটার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।

মোশারফকে হাসপাতালে নিয়ে আসা মো. সজিব জানায়, যাত্রাবাড়ীর ওই বাড়িতে সে রাজমিস্ত্রীর কাজ করতো। সন্ধ্যায় চার তলার সানসেটে জমে থাকা পানি পরিষ্কার করার সময় বিদ্যুৎপৃষ্টে গুরুতর আহত হয় মোশারফ। সেখান থেকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার মৃত্যু হয়।

বিজ্ঞাপন

খবর পেয়ে হাসপাতালে আসেন মৃত মোশারফের বড় ভাই মো. মিলন মিয়া। তিনি বলেন, ‘মোশারফ রাজমিস্ত্রীর করতো। সন্ধ্যায় জানতে পারি সে বিদ্যুৎপৃষ্টে আহত হয়েছে। খবর শুনে হাসপাতালে এসে তার মৃতদেহ দেখতে পাই।’

মিলন আরও জানায়, তাদের বাড়ি পাটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার নোমালা গ্রামে। বাবার নাম মৃত মোজাফফর হোসেন। মোশারফ যাত্রাবাড়ী দয়াগঞ্জে একটি মেসে থাকতো। দুই মেয়ে এক ছেলেকে নিয়ে মোশারফের স্ত্রী গ্রামে থাকে।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মৃতদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসএসআর/পিটিএম

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন