বিজ্ঞাপন

শেখ হাসিনার কারামুক্তি ও ডিজিটাল বাংলাদেশ

June 11, 2021 | 7:41 pm

গাজী সারোয়ার হোসেন বাবু

সময়, স্রোত থেমে থাকে না। সেইসঙ্গে কোনো মানুষের তকদির বা ভাগ্যকেও আটকে রাখা যায় না। বরং যার যার গন্তব্য সুনির্দিষ্ট করা থাকে। তার সামনে হাজারও বাধাবিপত্তি এলেও যেকোনো উপায়ে তিনি তার লক্ষ্যে পৌঁছে যাবেনই, কেউ ঠেকাতে পারবে না।

বিজ্ঞাপন

ঠিক এমনভাবেই সেনাসমর্থিত এক-এগারোর অবৈধ ও অগণতান্ত্রিক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই হয়রানি ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। দীর্ঘ ১১ মাস কারাভোগের পর ২০০৮ সালের ১১ জুন সংসদ ভবন চত্বরে স্থাপিত বিশেষ কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। গণতন্ত্রের মানসকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চলার পথকে কোনো অপশক্তি রুদ্ধ কর‍তে পারেনি। আজ দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাত ধরেই দেশ ডিজিটাল হয়েছে। দেশের নাগরিকরা ঘরে বসেই সব সুযোগ সুবিধা ভোগ করছে। মূলত প্রধানমন্ত্রী কারামুক্তির ফলে একদিকে সেই মামলা মিথা ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে প্রমাণিত হয়েছে, অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সব পর্যায়ে এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ।

বিশ্ব রাজনীতির কবি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা, রাষ্ট্রনায়ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা, ত্যাগ তিতীক্ষার পর দেশের রাজনীতিতে একজন সফল প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। শুধু তাই নয়, তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ রোল মডেলের দেশ হিসেবে বিশ্বে নেতৃত্বে দিচ্ছে। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু দেশের রত্ন না, তিনি বিশ্বরত্ন। তিনি বাঙালি জাতির চেতনার প্রতীক, আমাদের অহংকার।

বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ৩৭টিরও বেশি পুরস্কার ও পদক অর্জন করেছেন। আন্তর্জাতিক একাডেমিক কমিউনিটি শেখ হাসিনার অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম ও ভারতের বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন, সাহিত্য, লিবারেল আর্টস এবং মানবিক বিষয়ে ৯টি সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি দিয়েছে। ২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ (এমডিজি) অর্জন, বিশেষ করে শিশু মৃত্যুর হার কমানোয় অবদানের জন্য জাতিসংঘের অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন।

বিজ্ঞাপন

২০১৫ সালে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে আইসিটি’র ব্যবহারে প্রচারণার জন্য শেখ হাসিনাকে ‘আইসিটি সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ দেওয়া হয়। দেশের উন্নয়নে তার অব্যাহত অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি এ পদক পান। উইমেন ইন পার্লামেন্ট (ডব্লিউআইপি) ও ইউনেস্কো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ‘ডব্লিউআইপি গ্লোবাল ফোরাম অ্যাওয়ার্ড’ দেয়। এছাড়া পার্ল এস বাক অ্যাওয়ার্ড (১৯৯৯), সিইআরইএস পদক, মাদার তেরেসা পদক, এমকে গান্ধী পদক, ইন্দিরা গান্ধী শান্তি পুরস্কার (২০০৯), ইন্দিরা গান্ধী স্বর্ণ পদক, হেড অব স্টেট পদক, গ্লোবাল ডাইভারসিটি অ্যাওয়ার্ড (২০১১, ২০১২) ও নেতাজী স্মৃতি পুরস্কার (১৯৯৭) পেয়েছেন শেখ হাসিনা।

কেবল পুরস্কারপ্রাপ্তি নয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফলতার কথা এখন বিশ্বনেতারা জানতে চান বিভিন্ন ফোরামে। বহুপাক্ষিক সম্মেলনগুলোতে শেখ হাসিনা উপস্থিত হলেই অন্যান্য রাষ্ট্রনায়ক ও সরকারপ্রধান কাছে এসে অভিনন্দন জানান। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পর আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এমন পরিচিতি বাংলাদেশের আর কোনো নেতা পাননি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন ক্ষমতায় থাকা বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি নারীনেত্রী। ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী, ব্রিটেনের মার্গারেট থ্যাচার, জার্মানির অ্যাঙ্গেলা মের্কেল এবং শ্রীলঙ্কার চন্দ্রিকা কুমারাতুঙ্গাকেও টপকে গেছেন শেখ হাসিনা।

বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানা তৃতীয় ও সব মিলিয়ে চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। ১৯৯৬ সালের ২৩ জুন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ভারতের সঙ্গে ৩০ বছর মেয়াদি গঙ্গা নদীর পানি চুক্তি, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি, যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণ এবং খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতার মতো সব অর্জন সম্ভব হয়েছে। শেখ হাসিনা কৃষকদের জন্য বিভিন্ন কল্যাণমূলক কর্মসূচি এবং ভূমিহীন, দুঃস্থ মানুষের জন্য সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচি চালু করেন। এর মধ্যে দুঃস্থ মহিলা ও বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, বয়স্কদের জন্য শান্তি নিবাস, আশ্রয়হীনদের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্প এবং একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প উল্লেখযোগ্য। ইনডেমনিটি আইন বাতিল করে করে বিচার ব্যবস্থা পুনর্গঠন, একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার, রাজনৈতিক হত্যা, বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্য এবং কারাগারে জাতীয় চার নেতা হত্যাসহ সব হত্যার বিচার কার্যক্রম শুরু করেছেন।

২০০১ সালের ১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে পরাজয়ের পর বিরোধী দলে অবস্থানের সময় আওয়ামী লীগকে পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন ও নেতৃত্বশূন্য করতে বেশ কয়েকবার প্রাণঘাতী হামলা চালায় ক্ষমতাসীন বিএনপি-জামায়াত জোট। এরপর ২০০৮ সালে ফের আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর একুশ শতকে বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি শেখ হাসিনা বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো শপথ নেন। তারপর বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা ১৩ হাজার ২৬০ মেগাওয়াটে উন্নীত করা, গড়ে ৬ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন, ৫ কোটি মানুষকে মধ্যবিত্তে উন্নীত করা, ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সামুদ্রিক জলসীমা বিরোধের নিষ্পত্তি, প্রতিটি ইউনিয়নে ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন, মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীর মধ্যে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ, কৃষকদের জন্য কৃষিকার্ড এবং ১০ টাকায় ব্যাংক হিসাব খোলা, বিনা জামানতে বর্গাচাষিদের ঋণ প্রদান, চিকিৎসাসেবার জন্য সারাদেশে প্রায় সাড়ে ১৬ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন, দারিদ্র্যের হার ২০০৬ সালের ৩৮ দশমিক ৪ শতাংশ থেকে ২০১৩-১৪ বছরে ২৪ দশমিক ৩ শতাংশে কমিয়ে আনার মতো সাফল্য জমা পড়েছে শেখ হাসিনার ঝুলিতে।

২০১৪ সালের নির্বাচনে বিজয়ের পর আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করা, ভারতের পার্লামেন্টে স্থল সীমানা চুক্তির অনুমোদন এবং দুই দেশের অনুসমর্থন (এর ফলে দুই দেশের মধ্যে ৬৮ বছরের সীমানা বিরোধের অবসান), মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৬০২ মার্কিন ডলারে উন্নীত করা, দারিদ্র্যের হার ২২ দশমিক ৪ শতাংশে কমিয়ে আনা, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩২ বিলিয়ন ডলারের ওপর নিয়ে যাওয়া, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু বাস্তবায়নের মতো অনন্য অর্জন দেখেছে বাংলাদেশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই।

সবশেষ ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জনের পর ৭ জানুয়ারি ২০১৯ শেখ হাসিনা চতুর্থবারের মত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। তারপর মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতদের বিচার কাজে সফলতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। স্বাস্থ্য, কৃষি, বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুত্তি, বিদ্যুৎ খাত, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীসহ বিভিন্ন খাতের উন্নয়ন দেশের ভেতর-বাইরে প্রশংসিত হয়েছে। শিক্ষা খাতে অভাবনীয় উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বিনামূল্যে বই বিতরণ, মেধাবৃত্তি ও উপবৃত্তি প্রদান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ, শিক্ষা খাতে বাজেট বরাদ্দ জোট সরকারের আমলের চেয়ে ১৩ গুণ বাড়ানো, শিক্ষক নিয়োগ ও তাদের মর্যাদা বাড়ানো, নতুন বিদ্যালয় স্থাপন, কওমি মাদরাসার সনদকে স্বীকৃতি দেওয়া, দারিদ্রপীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং কর্মসূচি, সাক্ষরতার হার বৃদ্ধি, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট ফান্ড গঠন, কম্পিউটার ল্যাব ও মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন এবং সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মতো কাজ দেশের শিক্ষা খাতকে ব্হু দূর এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পথে সহায়ক হিসেবে কাজ কাজ করছে।

বিজ্ঞাপন

বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ এখন শুধু উন্নয়নের রোল মডেলই নয়, একটি মানবিক রাষ্ট্র হিসেবেও প্রশংসিত। কথিত তলাবিহীন ঝুড়ির বাংলাদেশ আজ ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার পাশাপাশি খাদ্য, বস্ত্র-চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ছাড়াও নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের দিকে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করেছে বাংলাদেশ। দেশের প্রথম স্যাটেলাইট ‘বঙ্গবন্ধু-১’ মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ আরও অনেক বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার। দেশের আইটি খাতের নতুন সম্ভাবনা যশোরে ‘শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক’ করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা তার চতুর্থ মেয়াদও সফলতার সঙ্গে শেষ করবেন, তা হলফ করে বলা যায়। বর্তমান হিসাবে শেখ হাসিনা বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদে ক্ষমতায় থাকা নারীনেত্রী। শেখ হাসিনা নানা ইস্যুতে বর্তমান বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় রাষ্ট্রপ্রধানও।

এ দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম অব্যাহত রাখার পাশাপাশি দল ও সরকারের নেতৃত্বে থেকে বাংলাদেশের জন্য বড় বড় অর্জনও বয়ে এনেছেন শেখ হাসিনা। আজকের ডিজিটাল বাংলাদেশ তার নেতৃত্বেই এগিয়ে যাচ্ছে। এই ডিজিটাল বাংলাদেশের ধারণা তিনিই দিয়েছেন। মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নে তার গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হচ্ছে। শুধু বাংলাদেশই নয়, বৈশ্বিক নানা সংকট নিয়ে কথা বলা এবং মতামত দেওয়ার মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক পরিসরেও শেখ হাসিনার পরিচিতি বেড়েছে।

শেখ হাসিনা নীতি ও আদর্শের প্রশ্নে পিতার মতোই অবিচল, দৃঢ় ও সাহসী। তিনি দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন এবং সব শ্রেণিপেশার মানুষের কল্যাণে যুগান্তকারী অবদান রেখে চলেছেন। ‘রূপকল্প ২০২১’-এর মধ্যম আয়ের বাংলাদেশকে ‘রূপকল্প ২০৪১’-এর বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি উন্নত, আধুনিক, সমৃদ্ধ, অসাম্প্রদায়িক কল্যাণকামী রাষ্ট্র গঠনে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

লেখক: সাংগঠনিক সম্পাদক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ

প্রিয় পাঠক, লিখতে পারেন আপনিও! লেখা পাঠান এই ঠিকানায় -
sarabangla.muktomot@gmail.com

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত মতামত ও লেখার দায় লেখকের একান্তই নিজস্ব, এর সাথে সারাবাংলার সম্পাদকীয় নীতিমালা সম্পর্কিত নয়। সারাবাংলা ডটনেট সকল মতাদর্শের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তবে মুক্তমতে প্রকাশিত লেখার দায় সারাবাংলার নয়।

সারাবাংলা/টিআর

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন